ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: গত বৃহস্পতিবার নবান্নের বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন দুপুর আড়াইটে নাগাদ সমস্ত দপ্তরকে নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক বসেছিলেন তিনি। ছিলেন মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, মন্ত্রী সুজিত বসু-সহ একাধিক দপ্তরের সচিবরা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। সেখানে বিদ্যুৎ অপচয় বন্ধ করতে কড়া ভাষায় তিনি প্রশাসনিক কর্তাদের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘অনেক সময়ই খবর আসে সরকারি অফিসে যখন লোক থাকছে না তখনও ফ্যান, আলো জ্বলছে, এমনকী AC ও ব্যবহার হচ্ছে। এভাবে বিদ্যুতের অপচয় বরদাস্ত করা হবে না।’ আর এই দাওয়াই এতটাই কাজে দিয়েছিল যে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বিদ্যুৎ অপচয় নিয়ে রাজ্যের স্কুলগুলিতে পৌঁছে গেছে স্কুল শিক্ষা দফতরের নির্দেশিকা।
সূত্রের খবর, সেই নির্দেশিকায় স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, রাজ্যজুড়ে বিদ্যুতের চাহিদা দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। সেই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে দেখা যাচ্ছে বহু স্কুলে বিদ্যুৎ অপচয় করা হচ্ছে। এই জিনিস অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। কোনো স্কুলে প্রয়োজনের বাইরে কোথাও বিদ্যুৎ ব্যবহার করা যাবে না। এজন্য প্রতিটি জেলা শিক্ষা দফতরকে নিয়মিত নজরদারি চালানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ বন্দে বা অমৃত ভারত নয়, বাংলাকে এবার নয়া ট্রেন উপহার দিল রেল! রুট জানলে লাফাবেন
অন্যদিকে সরকারি দপ্তরের অতিরিক্ত বিদ্যুতের বিল নিয়েও বেশ ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠকে তাঁর স্পষ্ট নির্দেশ, বিদ্যুতের বিল কমাতে হবে। দপ্তরের AC ২৬ ডিগ্রীর উপরে চালানো যাবে না। এমনকি প্রয়োজনে সরকারি প্রতিটি ভবনের মাথায় সোলার প্যানেল বসানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এদিন বিধাননগরেও জমি দখল হয়ে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মমতা।