মেট্রোর নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গে ঢুকল জল, ফের বড় বিপত্তি বউবাজারে! সরান হল বাসিন্দাদের

Published on:

durga pituri lane

ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: সময়টা ছিল ২০১৯। সেই সময় একের পর এক বাড়ি ভেঙে পড়ে গিয়েছিল বউবাজারে মেট্রোর কাজ করতে গিয়ে। চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছিল চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি। সেই সময় দুর্গা পিতুরি লেনের কাছে কাজ থেমে গিয়েছিল। জল রুখতে টিবিএম ‘চণ্ডী’-সহ সুড়ঙ্গের মুখ বন্ধ করে দিতে হয়। তার পরে পূর্বমুখী সুড়ঙ্গের নির্মাণকাজ সেরে শিয়ালদহ থেকে ফেরার পথে অপর টিবিএম ‘ঊর্বী’, ‘চণ্ডী’র অসমাপ্ত কাজ সম্পূর্ণ করে।

কিন্তু দুর্গা পিতুরি লেন লাগোয়া ৯ মিটার অংশে কাজ করতে গিয়ে ফের আচমকা জল বেরোতে শুরু করে। ফলত বেশ কিছু বাড়িতে ফাটল দেখা দেয়। তড়িঘড়ি কংক্রিট ঢেলে জল ঢোকা আটকানো হয়। ফলে আটকে যায় এসপ্ল্যানেড থেকে আসা, চণ্ডী-র তৈরি করা সুড়ঙ্গের মুখও। ওই অংশে হাত দিলেই জল বেরোনোর আশঙ্কায় কাজ থামাতে হয়েছিল। কংক্রিটের পরিমাণ বাড়ানোর ফলে কোনো কিছুই ঠিক হয়নি। এবার সেই পরিস্থিতির ছায়া ফের দেখা দিল গতকাল রাতে।

WhatsApp Community Join Now

ঘটনাটি কী?

লালবাজার সূত্রের জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎ ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর নির্মীয়মাণ টানেলে জল দেখা যায়। অবস্থা খারাপ বুঝে তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় স্থানীয় কাউন্সিলর, মেট্রো কর্তৃপক্ষ এবং পুরসভার আধিকারিকদের। এবং খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছান তাঁরা। তাঁরা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে সঙ্গে সঙ্গে দুর্গা পিতুরি লেন এলাকার ১১টি বাড়ি ফাঁকা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এবং মোট ৫২ জন বাসিন্দাকে হোটেলে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, বর্ষাকালে এমনিতেই জলস্তর উঁচু থাকে। সে কারণেই এই বিপত্তি ঘটেছে।

বিক্ষোভের মুখে মেট্রো আধিকারিকরা

এই পরিস্থিতিতে বাসিন্দাদের অভিযোগ, গত মাসের ২৬ তারিখ হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল কাজ হওয়ার জন্য। এরপর পরিস্থিতি আয়ত্তে আশায় ২ তারিখ ফিরে আসার অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু গতকাল রাতে আবার জরুরি ভিত্তিতে বেরিয়ে যেতে বলা হয় তাঁদের। এভাবে আর কতদিন চলবে? এদিকে মেট্রোর ইঞ্জিনিয়াররা জানিয়েছেন, এটা কোনো বিপজ্জনক ব্যাপার নয়। কিন্তু রাজ্যের SOP অনুযায়ী বউবাজারে কিছু হলেই যেন বাসিন্দাদের সরানো হয়। তাই বাসিন্দাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বাছাই করা গুরুত্বপুর্ন খবর পেতে গ্রুপে যুক্ত হোন