কলকাতাঃ বর্তমানে নানা ইস্যুকে ঘিরে সরগরম হয়ে রয়েছে বাংলা। আরজি কর, শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি, রেশন দুর্নীতি, হাসপাতালে দুর্নীতি…সব মিলিয়ে একের পর এক ঘটনায় উত্তাল বাংলা। সবথেকে বড় কথা, বিগত ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক, SSC, টেট দুর্নীতি যেন সর্বস্তরে বাংলার মুখ পুড়িয়েছে। তবে এতকিছুর মধ্যে ফের একবার শিরোনামে বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থা। নতুন করে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগকে ঘিরে উত্তাল হয়ে উঠল বাংলা। জানা যাচ্ছে, সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়ার পড়েও নাকি চাকরি পাননি ২০০ জন।
প্রাথমিকে নিয়োগে ফের দুর্নীতি!
প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে নতুন করে বড়সড় দুর্নীতির খবর প্রকাশ্যে উঠে এল। এদিকে এই নিয়ে রাজ্যের মুখ পুড়ল আদালতে। গর্জে উঠলেন কলকাতা হাইকোর্টের দাপুটে বিচারপতি অমৃতা সিনহা। আরও বিশদে জানতে চোখ রাখুন আজকের এই লেখাটির ওপর।
২০১০ সাল, যখন প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য উত্তর ২৪ পরগনা জেলার চাকরি প্রার্থীরা আবেদন করেন। এরপর সকলের দাবি মেনে ২০১১ সালে পরীক্ষাও হয়। কিন্তু আচমকা সেই সময়ে পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে এই পরীক্ষা ২০১৪ সালের ১৮ মার্চ নেওয়া হয়। এই ঘটনার কয়েক মাস পর ১১ নভেম্বর ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শুরু করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এরপরেই অভিযোগ ওঠে, ২০০ জন মতো চাকরি প্রার্থীর ভালো নম্বর থাকা সত্ত্বেও তাঁদের নাম মেধা তালিকায় নেই এবং চাকরিও পাননি।
প্রশ্নের মুখে ২০০ জনের চাকরি
আজ শনিবার এই মামলাই ওঠে কলকাতা হাইকোর্টে। আদালতের ২০০ জন মামলাকারীর পক্ষের আইনজীবী আশীষ কুমার চৌধুরী জানিয়েছেন, চাকরিপ্রার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর অধিক থাকা সত্ত্বেও তাঁরা মেধা তালিকায় স্থান পাননি। যে কারণে তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। এই ঘটনায় বিচারপতি অমৃতা সিনহার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। উত্তর ২৪ পরগনা প্রাইমারি কাউন্সিলের আইনজীবীকে বিচারপতি অমৃতা সিনহার প্রশ্ন, আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও কেন তারা রিপোর্ট জমা দিল না।
আরও পড়ুনঃ এক ট্রেনেই নদীয়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম! রেলপথে জুড়ছে তিন জেলা, বড় পদক্ষেপ পূর্ব রেলের
যদিও আইনজীবী জানিয়েছেন আরও খানিকটা সময়ের প্রয়োজন রয়েছে। এরপর বিচারপতি অমৃতা সিনহা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছে জানতে চান, ‘আপনাদের দেওয়া তথ্যই বলছে মামলাকারী বেশি নম্বর পেয়েও স্থান পেলেন না অথচ তার চেয়ে কম নম্বর পেয়েও চাকরি করছেন! কী করে?’ জানা গিয়েছে, আগামী ১৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।