ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: নীলাদ্রির শেষ রক্ষা হলেও আটকে গেল কুন্তল ঘোষ! নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এল এক নয়া মোড়। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য সহ বেশ কিছু নেতাদের। যাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিল নীলাদ্রি ঘোষ এবং কুন্তল ঘোষ। অভিযোগ উঠেছিল বিপুল টাকার বিনিময়ে চাকরিতে নিয়োগ। এবারে তাঁদেরই আবেদন মঞ্জুর করার প্রসঙ্গে বড় পদক্ষেপ নিল কলকাতা হাইকোর্ট।
সূত্রের খবর, এর আগে বেশ কয়েকবার নিয়োগ ‘দুর্নীতি’ মামলায় জামিনের জন্য আবেদন করেছিল নীলাদ্রি ঘোষ এবং কুন্তল ঘোষ। প্রতিবার কোনো নির্দিষ্ট যুক্তির ভিত্তিতে আবেদন খারিজ করা হয়। চলতি বছর আরও একবার দুজনের জামিনের আবেদন জানায় তাঁদের আইনজীবী। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের ডিভিশন বেঞ্চে গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি ছিল। তবে সেই শুনানিতে নীলাদ্রির আবেদন মঞ্জুর হলেও কুন্তলের জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে।
কুন্তলের বিরুদ্ধে CBI এর অভিযোগ
এক বছরেরও বেশি সময় ধরে জেলে রয়েছেন কুন্তল ঘোষ। অভিযোগ ছিল চাকরি দেওয়ার নামে চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছিল প্রায় চার কোটি টাকা। প্রাইমারি স্কুল কাউন্সিলের কসবার অফিসে ভুয়ো ইন্টারভিউ নেওয়া হয়েছিল বলে জানায় CBI। কারা ইন্টারভিউ নিয়েছিলেন, তা এখনও অধরা। এমনকি টেটে ফেল করা প্রার্থীদের যোগ্য প্রমাণ করতে ভুয়ো ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়েছিল যা দেখতে অবিকল আসল ওয়েবসাইটের মতো ছিল। এই নিয়োগ দুর্নীতি যাতে ধরা না পড়ে, তার জন্য অযোগ্য চাকরিপ্রাপকদের ভুয়ো ইমেল আইডি থেকে মেল পাঠিয়ে ইন্টারভিউয়ের জন্য ডেকে পাঠানো হত।
জামিনে কেন নারাজ CBI?
সিবিআইয়ের রিপোর্টে এও দাবি করা হয়েছিল যে শিক্ষক নিয়োগের কোনও নিয়ম তাঁরা মানেননি। উল্টে ওএমআর শিট মূল্যায়নের দায়িত্ব ‘এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি’কে দেওয়া হয়েছিল। যার সঙ্গে জড়িত ছিল নীলাদ্রি ঘোষ এবং তাপস মণ্ডলও। তবে এই মুহূর্তে নীলাদ্রি ঘোষ ছাড়া পেলেও আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয় কুন্তল ঘোষের। এর আগে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি CBI কে কুন্তলের মামলার ‘স্টেটাস’ জিজ্ঞাসা করেছিলেন। কত দিন কুন্তলকে জেলে থাকতে হবে, তা জানতে চাওয়া হয়েছিল CBI এর কাছে। সেক্ষেত্রে CBI জানায়, মামলার তদন্ত চলছে। যদি আদালত এর মাঝে কুন্তল এবং নীলাদ্রি ছাড়া পায়, তাহলে এই সংক্রান্ত সকল প্রমাণ নষ্ট হতে পারে। কারণ এই দুর্নীতিতে সেতু হিসাবে কাজ করেছেন কুন্তল, নীলাদ্রিরা।