ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণার পরেই রাজ্য সরকার একের পর এক নয়া উদ্যোগ নিয়েই চলেছে। তার মধ্যে অন্যতম হল সরকারী কর্মীদের DA বৃদ্ধি। আগে সরকারী কর্মীরা ১০ শতাংশ হারে DA পেত। কিন্তু গত এপ্রিল মাস থেকে সেই DA এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৪ শতাংশ। এক ধাক্কায় ৪ শতাংশ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাতেও কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের DA ফারাক অনেকটাই রয়েছে। এই আবহে সরকারী কর্মীদের স্বাস্থ্য স্কিম নিয়ে এক নয়া আপডেট সামনে এল।
স্বাস্থ্য স্কিমে জুড়ল আরও এক নিয়ম
সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, চোখের চিকিৎসার ক্ষেত্রে ‘লুসেনটিস’ নামের ইনজেকশনের পুরো দাম পাওয়া যাবে সরকারি স্বাস্থ্য প্রকল্পের মাধ্যমে। যেখানে আগে এই ইনজেকশনের জন্য সরকারি কর্মীদের ৪৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হত স্বাস্থ্য প্রকল্পের মাধ্যমে। বাকি টাকা সংশ্লিষ্ট কর্মীদেরকেই নিজের পকেট থেকে দিতে হত। তবে এখন সেই নিয়মে পুরোপুরি বদল হল। এখন থেকে এই ইনজেকনের পুরো দামই মিলবে সরকারি স্বাস্থ্য প্রকল্পের মাধ্যমে। তবে একটাই শর্ত। যদি দেখা যায় এই ‘লুসেনটিস’ ইনজেকশনের দাম ৫০ হাজার পেরিয়েছে, তাহলে অর্থদফতরের মেডিকেল সেলের কাছ থেকে আগাম সেই ইনজেকশনের জন্য অনুমোদন করতে হবে।
শুধু তাই নয়, সরকারী কর্মীদের স্বাস্থ্য স্কিমে একের পর এক নানা উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। আগে রাজ্য সরকারি কর্মীদের স্বাস্থ্য প্রকল্পে ১০০ মিলিলিটার হিউম্যান অ্যালবুমিনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ তিন হাজার টাকা করে দেওয়া হত। কিন্তু এখন থেকে পুরো দামই রাজ্য সরকার দেবে সরকারি কর্মীদের। এছাড়াও অনেক সময় দেখা গিয়েছিল সরকারী কর্মীদের স্বাস্থ্য প্রকল্পের বিল জমা করার পরেও অনেক দেরিতে টাকা পায় কর্মীরা। যার ফলে নানা সমস্যার মুখে পড়তে হয় তাঁদের। তাই সেই সমস্যা দূর করতে রাজ্য সরকার স্বাস্থ্য প্রকল্প পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত মেডিক্যাল সেলে একজন চিকিৎসককে রাখার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। এর ফলে সরকারি স্কিমে কর্মীদের বিল মেটানোর কাজ এখন অনেকটাই দ্রুততার সঙ্গে হবে।
আরও ৯টি হাসপাতাল যুক্ত স্বাস্থ্য স্কিমে
এছাড়াও স্বাস্থ্য দফতরের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী জানা গিয়েছে, স্বাস্থ্য স্কিমে আরও ৯ টি হাসপাতাল যোগ করা হতে চলেছে। সংযুক্ত হওয়া নতুন হাসপাতালগুলি হল কলকাতা কিডনি ইনস্টিটিউট (কালিকাপুর), টেকনো ইন্ডিয়া ডামা হেলথকেয়ার সেন্টার (ইএম বাইপাস), তপোবন হাসপাতাল (দুর্গাপুর), আরামবাগ ডায়াগ্নস্টিক (আরামবাগ), এএসজি হাসপাতাল (বিটি রোড), এএসজি হাসপাতাল (দেশপ্রাণ শাসমল রোড), হিমালয়ান আই ইনস্টিটিউট (শিলিগুড়ি), জ্যোতির্ময় আরোগ্য ভবন (চণ্ডীতলা, শ্রীরামপুর), মেডিট্রাস্ট ডায়াগ্নস্টিক (কাশিপুর রোড, দমদম)।