ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: গত বছর থেকে বই আকারে প্রকাশিত হওয়া শুরু হয়েছে কলকাতা হাই কোর্টের বার্ষিক রিপোর্ট। আর সেখানেই স্থান পেয়ে থাকে হাই কোর্টের বিচারপতিদের দেওয়া সেরা রায়গুলির তালিকা। এবারেও অন্যথা হয়নি। সারা বছর ধরে বিচার করে হাই কোর্টের কোন বিচারপতির কোন রায়টি সেরা তা নির্ধারণ করা হয়। মূলত প্রতি বছর ১৫ আগস্টে এই বই প্রকাশ হয়। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক চলতি বছর কোন রায়ে কোন বিচারপতি সেরা রায় দিয়েছে।
সূত্রের খবর, বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায়ের ডিভিশন বেঞ্চের সেরা রায় হিসেবে মনোনীত হয়েছে পঞ্চায়েত মামলা। সেই মামলায় অভিযোগ উঠেছিল মনোনয়নপত্র কারচুপি নিয়ে। এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল সিঙ্গল বেঞ্চ। ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, এই ভাবে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া যায় না। অন্যদিকে একজন অ্যাসিড আক্রান্ত পুরুষ মহিলাদের মতো ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাই কোর্টে মামলা করেন। ওই মামলায় বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের রায় দেয় যে মহিলাদের মতো তিনিও একই ক্ষতিপূরণ পাবেন।
সেরা রায়ে এগিয়ে কোন মামলা?
অন্যদিকে সেরা রায়গুলোর তালিকায় জায়গা পেল সন্দেশখালি এবং SSC র ২৬ হাজার চাকরি বাতিল। সূত্রের খবর সন্দেশখালির মামলায় হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ CBI তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। এবং নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এক ধাক্কায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল করেছিল বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ। পাশাপাশি সেরা রায়ের তালিকায় বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা রায় দিয়েছিলেন সরকারি চাকরিতে রূপান্তরকামীদের এক শতাংশ বাধ্যতামূলক সংরক্ষণ এর।
নাম উঠেছে প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের!
প্রসঙ্গত, গত বছর সেরা রায়ের তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রাথমিকে নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে দেওয়া রায়। তেমনই অন্তঃসত্ত্বা নাবালিকার গর্ভপাত থেকে শুরু করে বন্যপ্রাণ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত সেরা রায়গুলিই তালিকাভুক্ত হয়েছিল বার্ষিক রিপোর্টে। পাশাপাশি রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের কেন্দ্রীয় হারে DA বা মহার্ঘভাতা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল বিচারপতি হরিশ টন্ডন এবং রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ, যা গত বছরের সেরা রায়ের তকমা দেওয়া হয়েছিল।