ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: রাজ্যে বর্ষার আগমন ঘটলেই একের পর এক রোগের সংক্রমণ বৃদ্ধি পায়। কখনও ডেঙ্গু কখনও ম্যালেরিয়া। ঘরে ঘরে এখন জ্বরের প্রকোপ যেন বেড়েই চলেছে। আর এই আবহেই এবার রাজ্য জুড়ে আতঙ্ক বাড়ল এক পুরোনো রোগ বার্ড ফ্লু।
পুরো বিশ্ব এখনও করোনাভাইরাস মহামারি থেকে পুরোপুরি বেরিয়ে আসতে পারেনি। এরই মধ্যে এখন H5N1 অর্থাৎ বার্ড ফ্লু মহামারি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বেড়েছে গোটা রাজ্য জুড়ে। যা কোভিড-১৯ এর থেকেও মারাত্মক একটি রোগ। বিজ্ঞানীরা এবং বিশেষজ্ঞরা ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে সতর্ক করে জানিয়েছেন যে বার্ড ফ্লু মহামারী করোনার চেয়ে ১০০ গুণ বেশি বিপজ্জনক হতে পারে এবং এর ফলে সংক্রামিতদের ৫০ শতাংশের মৃত্যুও হতে পারে। যার ফলে রাজ্য জুড়ে ছড়িয়েছে আতঙ্ক। কারণ রাজ্যে হু হু করে যেন বেড়েই চলেছে বার্ড ফ্লু এ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। হাসপাতালে ভর্তি অনেক শিশু।
রাজ্যে বার্ড ফ্লু আতঙ্ক
চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে প্রকাশ্যে আসে বার্ড ফ্লু আক্রান্তের খবর। তবে সেই সময় এর এত প্রভাব পড়েনি। কিন্তু এরপর ফের জুলাই মাসে আক্রান্তের খবর সামনে আসে। আর তাতে বেশ চিন্তায় পড়েছে চিকিৎসকেরা। সম্প্রতি বার্ড ফ্লুতে কলকাতার এন্টালি, হালতুর দুই শিশু আক্রান্ত হয়েছেন। পার্ক- সার্কাসের এক শিশু হাসপাতালে চলছে তাদের চিকিৎসা। অবস্থা স্থিতিশীল হলেও পরিস্থিতি নিয়ে বেশ চিন্তিত চিকিৎসকেরা।
বার্ড ফ্লু প্রসঙ্গে এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, ‘ঘরে ঘরে বাচ্চাদের জ্বর-কাশি-সর্দি-গায়ে ব্যথা হচ্ছে। যদিও বা জ্বর কমে যাচ্ছে, তখনই মারাত্মক কাশি হচ্ছে। শারীরিক পরীক্ষা করা হলে এই শিশুদের বেশির ভাগই ইনফ্লুএঞ্জা-A, H1N1 এবং H3N2 আক্রান্ত হতে দেখা যাচ্ছে। তাই শিশুদের নিরাপদ জায়গায় সুরক্ষিত রাখতে হবে।’
এই ভাইরাসের লক্ষণগুলি কী কী?
জ্বর, কাশি, গলা ব্যথা, ডায়রিয়া, পেশী ব্যথা, ক্লান্তি, মাথাব্যথা, শ্বাসকষ্ট, বমি, নিউমোনিয়া ইত্যাদি।
কীভাবে রেহাই পাবেন?
১) সংক্রামিত পাখির সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন
২) পোল্ট্রি পণ্য পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে রান্না করুন।
৩) মৃত পাখি স্পর্শ করবেন না।
৪) ঘন ঘন হাত ধোবেন।
৫) কাশি বা হাঁচির সময় মুখ ও নাক ঢেকে রাখুন।