ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: বিগত ৫ বছর আগে ২০১৯ সালে কালীঘাট মন্দির কমিটির সঙ্গে কলকাতা পুরসভার স্কাইওয়্যাক নির্মাণ নিয়ে চুক্তি হয়েছিল। এই নয়া স্কাইওয়্যাক নির্মাণের ফলে পানীয় জলের ব্যবস্থা, অতিথিশালা-সহ অন্যান্য নানা পরিষেবা আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কলকাতা পুরসভা। তাই হকারদের সরিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু প্রথমদিকে হকারদের কোথায় বিকল্প জায়গা দেওয়া হবে এই সব নিয়েই প্রাথমিকভাবে জটিলতা তৈরি হয়েছিল।
ফের হাইকোর্টের কোপে রাজ্য সরকার!
কিন্তু ২০২২ সালে সেই জট পেরিয়ে কালীঘাটে শুরু হয়েছিল স্কাইওয়্যাক তৈরির কাজ। সেই সময় প্রায় ৩৫০ হকারকে নতুন করে জায়গা করে দেওয়া হয়েছিল। এবং পুরসভা থেকে জানানো হয়েছিল যে স্কাইওয়্যাক তৈরি হলে, যে ডিপার্টমেন্টাল স্টোর তৈরি হবে সেখানেই প্রত্যেক দোকানিকে বসার জায়গা করে দেওয়া হবে। ১৮ মাসের মধ্যেই মন্দিরের সংস্কার ও স্কাইওয়্যাক তৈরির কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে আশাও দিয়েছিল পুরসভা। তাতে রাজিও হয়েছিল দোকানিরা। কিন্তু, সেই কাজ এখনও শেষ হয়নি। ঢিমেতালে চলছে সংস্কার।
অভিযোগের তীর কলকাতা পুরসভার দিকে!
ফলত কালীঘাটে স্কাই-ওয়াকের কাজের জন্য নিয়মিত ব্যবসা বন্ধ রাখতে হচ্ছে বেশ কিছু স্থানীয় দোকানির। কিন্তু কোনও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে না পুরসভা থেকে। তাই এবার সুবীর রায়-সহ বেশ কয়েক জন দোকানি ব্যবসার ক্ষতিপূরণ অথবা অন্যত্র পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করার আবেদন জানিয়ে হাই কোর্টে দ্বারস্থ হয়েছেন। বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে উঠেছে এই মামলা। আবেদনকারীর আইনজীবী ঋতুপর্ণা ঘোষ আশা রাখছেন মঙ্গলবারই এই মামলার শুনানি হবে।
আরও পড়ুনঃ মামলা করে পুড়ল মুখ, রাজ্য সরকারকে স্বস্তি দিয়ে বড় রায় হাইকোর্টের! ব্যাকফুটে সরকারি কর্মীরা
প্রসঙ্গত, কালীঘাট থানা সংলগ্ন ওই স্কাইওয়্যাকটি ৪৫০ মিটার দীর্ঘ ও ১০ মিটার চওড়া হবে। এর একটি দিক যাবে গুরুপদ রোডের দিকে। দর্শনার্থী ও পুণ্যার্থীদের যাতে মন্দিরে যেতে আসতে কোনও সমস্যা না হয়, তারজন্যই এই স্কাইওয়্যাক তৈরি করছে পুরসভা। জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালে এই মন্দিরের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল ১৫ কোটি টাকা, যা এইমুহুর্তে বাড়িয়ে করা হয়েছে ১৭ কোটি টাকায়। অন্যদিকে মন্দির সংস্কারের যাবতীয় দায়িত্ব সরকার রিলায়েন্স গোষ্ঠীর হাতে তুলে দিয়েছে।