অবৈধ নিয়োগ! ফের চাকরি বাতিলের রায় হাইকোর্টে, চরম অ্যাকশন আদালতের

Published on:

calcutta-hc

ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: গত বুধবার ২০১০ সালের পরে তৈরি হওয়া সমস্ত OBC তালিকা বাতিল করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। যার দরুন বাতিল হয়েছিল প্রায় ৫ লাখ OBC সার্টিফিকেট। কিন্তু ২০১০ সালের আগের ঘোষিত OBC শ্রেণিভুক্ত ব্যক্তিদের শংসাপত্রগুলি বৈধ। এছাড়াও যাঁরা ২০১০ সালের পরে OBC সংরক্ষণের কারণে চাকরি পেয়েছেন বা নিয়োগপ্রক্রিয়া মধ্যে রয়েছেন তাদের চাকরি বহাল থাকবে। এমনটাই জানিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে ঝাড়গ্রামের এক স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর SC শংসাপত্র বিতর্কে গুরুত্বপূর্ণ রায় দিল হাই কোর্ট।

১৪ বছর চাকরির পর ভয়ংকর পরিণতি

সূত্রের খবর, ১৯৯৭ সালে SC অর্থাৎ তফসিলি জাতি হিসেবে সংরক্ষিত শিক্ষাকর্মী পদে চাকরি পান সুতপা হাটই। ১৭ ফেব্রুয়ারি জামবনি ব্লকের দুবড়া আদর্শ বিদ্যামন্দিরে (উচ্চ মাধ্যমিক) চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষাকর্মী পদে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। তাঁকে নিয়োগ করা হয়েছিল তৎকালীন স্কুল পরিচালন সমিতির তরফ থেকে। প্রায় ১৪ বছর সেখানে কাজ করেন। কিন্তু ১৪ বছর চাকরির পর ২০১১ সালে একটি মহলের অভিযোগের ভিত্তিতে সুতপার জাতিগত শংসাপত্র নিয়ে প্রশাসনিক অনুসন্ধান শুরু হয়। যার দরুন তাঁর শংসাপত্র বাতিল করে ঝাড়গ্রামের তৎকালীন মহকুমাশাসক। এবং ২০১১-এর জুন থেকে সুতপার বেতন বন্ধ হয়ে যায়। এমনকি শো-কজ এর নোটিসও ধরিয়ে দেওয়া হয়।

WhatsApp Community Join Now

বাতিল হল SC শংসাপত্র!

কিন্তু সেই অভিযোগে চুপ থাকেনি সুতপা। তিনিও পাল্টা জাতিগত শংসাপত্র বৈধ দাবি করে হাই কোর্টে রিট পিটিশন করেন। সেই পিটিশনের বেশ কয়েকবার শুনানিও হয়। অবশেষে তাঁর রায় প্রকাশ্যে এল। গত বুধবার অর্থাৎ ২২ মে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ জানিয়েছে, ‘ভুয়ো শংসাপত্র দাখিল করে সংরক্ষিত আসনে ওই শিক্ষাকর্মীর নিয়োগ অবৈধ। এ বিষয়ে প্রশাসনিক পদক্ষেপেরও নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। সুতপা ১৪ বছর স্কুলে পরিষেবা দিয়েছেন। এমনকি ২০১১ সালের মে মাস পর্যন্ত বেতনও পেয়েছেন। কিন্তু বেতন বাবদ প্রাপ্ত টাকা সুতপাকে ফেরত দিতে হবে না।’ যদিও সুতপার দাবি, ‘আমি চক্রান্তের শিকার। আমি এই রায়ের বিরুদ্ধে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আপিল করব।’

আরও পড়ুনঃ পর্ষদকে চূড়ান্ত নির্দেশ! ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের মাঝে হাইকোর্টের রায়ে ঘুম উড়ল পুরনো শিক্ষকদের

ভোটের মাঝেই এই ঘটনায় শুরু হয়েছে নানা রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব। একে অপরকে বিরোধী দল দোষ দিয়েই চলেছে। দুবড়া আদর্শ বিদ্যামন্দিরের প্রধান শিক্ষক গোপালচন্দ্র কুইলা বলেন, ‘এ বিষয়ে এখনও কিছু জানা নেই।’ কিন্তু জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক শক্তিভূষণ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘হাই কোর্টের রায়ের প্রতিলিপি পেয়েছি। ওই শিক্ষাকর্মীর নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়টি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের এক্তিয়ারভুক্ত। এ বিষয়ে পর্ষদই সিদ্ধান্ত নেবে।’

বাছাই করা গুরুত্বপুর্ন খবর পেতে গ্রুপে যুক্ত হোন