ইন্ডিয়া হুড ডেস্কঃ SSC নিয়োগ দুর্নীতির মাঝেই আরও একবার চাঞ্চল্যকর রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট! ফের একবার বাতিল হল নিয়োগ প্রক্রিয়া! গত সপ্তাহেই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের ফলে একদিনেই চাকরি বাতিল হয়েছে প্রায় ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের। বাতিল হয়েছে ২০১৬ সালের পুরো প্যানেলটি। একধাক্কায় হাজার হাজার মানুষের চাকরি বাতিলে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বাকবিতণ্ডা। এদিকে যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের নিজেদের হকের চাকরি টিকিয়ে রাখতে চারিদিকে চলছে আন্দোলন। আর এই পরিস্থিতিতে এবার অপর একটি পদের নিয়োগের গোটা প্রক্রিয়া রদ করল হাই কোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দ।
ফের নিয়োগ কেলেঙ্কারি
এবার টার্গেট আসানসোলের কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড প্ল্যানিং অফিসার পদের। জানা গিয়েছে, ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড প্ল্যানিং অফিসার পদে নিয়োগের জন্য ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল কর্তৃপক্ষ। সেখানে বলা হয়েছিল যে ওই পদে নিয়োগের জন্য প্রার্থীদের স্নাতকোত্তরে অন্তত ৫৫ শতাংশ নম্বর পেতে হবে। এবং ১০ বছর কাজের এক্সপেরিয়েন্স থাকতে হবে। বিজ্ঞপ্তি জারি করার পর সেই পদের জন্য আবেদন করেছিল প্রায় ৫৬ জন প্রার্থী। সেই ৫৬ জন প্রার্থীর মধ্যে থেকে বেছে নেওয়া হয় দশ জনের একটি তালিকা। এবং তাঁদের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। যাঁরা উত্তীর্ণ হয়েছেন তাঁরাই নিযুক্ত হয়েছেন। তবে এই নিয়োগের ক্ষেত্রেও ফুটে ওঠে অস্বচ্ছতার ছায়া।
ফের চাকরি বাতিল বঙ্গে!
বাছাই করা সেই ১০ জন নির্বাচিত প্রার্থীর তালিকায় নাম ছিল মহেশ্বর মালোদাসের। মৌখিক পরীক্ষার ভিত্তিতে তাঁকেও সেই পদে নিয়োগ করা হয়। কিন্তু হাইকোর্টের কাছে ওই ব্যক্তির নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে উঠে এসেছে নানা অস্বচ্ছতার অভিযোগ। এবং এই অভিযোগ তোলে অপর দুই চাকরিপ্রার্থী।
আরও পড়ুনঃ আর নেই চিন্তা! সুপ্রিম কোর্টের রায়ের আগেই চাকরিহারাদের জন্য হয়ে গেল বড় ঘোষণা
ফলত এই অভিযোগের ভিত্তিতে আদালত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় নথিপত্র জমা দেওয়ার আদেশ দেয়। সেই সমস্ত তথ্য বিবেচনা করার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অস্বচ্ছতা রয়েছে বলে রায় দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। এমনকি এও জানানো হয়ে যে সেই ব্যক্তির এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় উন্নীত হওয়ার মতো কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই। তাই সেই ভিত্তিতে বাতিল হয়েছে তাঁর নিয়োগও।