ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: ২০১৪ সালে প্রাথমিকে নিয়োগের পরীক্ষায় OMR শিট নিয়ে প্রথম থেকেই ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটেই চলেছে। সেই সময় OMR শিট সংক্রান্ত এই মামলায় CBI এর তদন্তের নির্দেশ দেন হাই কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু পরে তিনি যখন প্রধান বিচারপতির পদত্যাগ করেন তখন সেই মামলা বিচারপতি মান্থার কাছে চলে যায়। আর সেই ভিত্তিতে গত মঙ্গলবার CBI এর কাছে OMR শিটের রিপোর্ট তলব করেছিলেন।
হাইকোর্টে OMR শিট নিয়ে বড় আপডেট
কিন্তু গত মঙ্গলবার বিচারপতি মান্থা CBI-র এই মামলা সংক্রান্ত রিপোর্টে একদমই সন্তুষ্ট হননি। তখন বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছিলেন যে কোন হার্ডডিস্কে বা কোন অরিজিনাল সার্ভারে OMR শিটের ডিজিটাল কপি রাখা হয়েছিল, সেটা জানাতে হবে CBI কে। এবং সেই তথ্য জানানোর সময়সীমা দেওয়া হয়েছিল আজ অর্থাৎ শুক্রবার। তাই হিসেব মত আজ শুক্রবার হাইকোর্টে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির OMR সংক্রান্ত মামলার শুনানির সময় CBI জানায়, বিচারপতি মান্থা যে তথ্য জমা দিতে বলেছিলেন, সেটা CBI এর পক্ষে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
OMR শিট নিয়ে CBI-কে বিরাট নির্দেশ হাইকোর্টের
আর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিচারপতি মান্থা নির্দেশ দেন, TCS বা Wipro-র মতো ভারতের প্রথম সারির কোনও তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা অথবা বিশ্বের প্রথম সারির যে কোনও সংস্থাকে নিয়োগ করে কোন হার্ডডিস্কে বা কোন অরিজিনাল সার্ভারে ডিজিটাল OMR শিটের ডিজিটাল কপি রাখা হয়েছিল, সেটা খুঁজে বের করুক CBI। কারণ প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে যে মামলা চলছে, তাতে ওএমআর শিটের তথ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেক্ষেত্রে যাবতীয় যা খরচ পড়বে সবটা পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং পশ্চিমবঙ্গের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে দিতে হবে।
আরও পড়ুনঃ বাতিল হবে লক্ষ লক্ষ রেশন কার্ড, ED-কে লিস্ট পশ্চিমবঙ্গ সরকারের! আপনারটা তালিকায় নেই তো?
প্রসঙ্গত, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে হাইকোর্টে প্রথমে জানানো হয়েছিল যে OMR শিট মূল্যায়নের কাজ প্রথমে দেওয়া হয়েছিল এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানিকে। ওই সংস্থাই স্ক্যান করে OMR শিটের ডিজিটাল ভার্সন সংরক্ষণ করে রেখেছিল বলে দাবি করেছিল পর্ষদ। কিন্তু ২০১৪ সালের নিয়োগ পরীক্ষার OMR শিট এর হার্ড কপি পুরোটাই নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।