ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই একের পর এক দুর্নীতির মামলায় রীতিমত আবদ্ধ রাজ্য সরকার। কয়লা পাচার কাণ্ড থেকে শুরু করে গোরুপাচার কাণ্ড কোনোটাই বাদ যায়নি। এবার শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বড় নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। ফের হাইকোর্টের ক্ষোভের মুখে পড়ল রাজ্য সরকার।
ঘটনাটি কী?
সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদের গোথা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আশিস তিওয়ারি সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে তার ছেলে অনিমেষ তিওয়ারিকে স্কুলের চাকরিতে নিযুক্ত করেছিলেন বলে অভিযোগ তোলা হয়েছিল হাইকোর্টে। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু এই মামলাতে CID তদন্তের নির্দেশ দিয়ে সিট গঠন করার কথা জানিয়েছিলেন। জানা যায়, তদন্ত শুরুর পর এখনও পর্যন্ত CID অন্তত সাত জনকে খুঁজে পেয়েছেন যারা কোনওরকম পরীক্ষা না দিয়েই বিভিন্ন স্কুলে চাকরি করছে। এরপর বাধ্য হয়ে গতকাল রাজ্যের শিক্ষা দফতরকে আদালত নির্দেশ দিল সমস্ত স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের যোগ্যতার তথ্য ‘বাংলার শিক্ষা পোর্টাল’-এ আপলোড করতে হবে।
বিচারপতির বড় নির্দেশ
গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা প্রসঙ্গে এক বিস্ফোরক নির্দেশ জানিয়েছেন। তিনি জানান, শিক্ষা দফতরের অধীন সমস্ত স্কুলে নিযুক্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তথ্য ‘বাংলার শিক্ষা পোর্টাল’-এ আপলোড করতে হবে। আর এই কাজ করতে হবে আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে। শুধু তাই নয় বিচারপতি আরও মন্তব্য করেন, ‘রাজ্যের একাধিক স্কুলে বহু শিক্ষক-শিক্ষিকা পড়াচ্ছেন যাদের কোনো যোগ্যতা নেই শিক্ষকতা করার, এমন অভিযোগও বার বার উঠে এসেছে! তাই স্কুলের শিক্ষক যে যে বিষয়ে পড়াচ্ছেন তা পড়ানোর যোগ্যতা তাঁর আছে কিনা, সেটা ছাত্রছাত্রী বা অভিভাবকদের জানা প্রয়োজন।’ তাই সেই কারণেই প্রত্যেক শিক্ষক-শিক্ষিকার যোগ্যতা কী, তা সরকারের পোর্টালে আপলোড করতে হবে।
আরও পড়ুন: শুধু বৃষ্টিই নয়, দক্ষিণবঙ্গের সাত জেলায় ৪০ কিমি বেগে ঝড়ও! আরও নামবে পারদ
কিন্তু এদিকে রাজ্যের আইনজীবী বিশ্বব্রত বসু মল্লিক বিচারপতির নির্দেশে পাল্টা জানান, স্কুলের শিক্ষক- শিক্ষিকাদের তথ্য জড় করতে আরও দু’মাস সময় লাগবে। তাই সেক্ষেত্রে যদি আরও কিছুটা সময় দেয় আদালত, তার আর্জি জানিয়েছিলেন। কিন্তু অতিরিক্ত কোনো সময় দিতে নারাজ বিচারপতি। তিনি বলেন, ‘রাজ্য সমস্ত ব্যাপারে এত শ্লো কেন? আরও দ্রুত কাজ করতে হবে। বহু শিক্ষক চার-পাঁচ বছর ধরে চাকরি করছেন, কিন্তু কোনও রকম নিয়োগপত্র নেই। তাই আর দেরি করা যাবে না। কারা স্কুলে চাকরি করছে সেটা সবার জানার দরকার।’ আসলে মুর্শিদাবাদের গোথা হাইস্কুলের একটি নিয়োগ সংক্রান্ত মামলাতেই এই প্রশ্ন ওঠে। সিআইডি মামলার তদন্তভার নেয়। কতজন এরকম বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছে, সেই প্রশ্ন ওঠে।