ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির মামলার মাঝেই এক জটিল সমস্যা ঘিরে রেখেছিল গোটা রাজ্য জুড়ে। আর সেটি হল রাজ্যের স্কুল-শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশন। এই নিয়ে এর আগেও নানা আপত্তি তোলা হয়েছিল। যার দরুন মামলা গড়িয়েছিল হাইকোর্টেও। কিন্তু রাজ্যের স্কুল-শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশন নিয়ন্ত্রণে হাইকোর্টের নির্দেশের পরেও অবস্থা সেই তিমিরেই ছিল। তবে সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্ট স্কুল শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশন নিয়েরাজ্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদের বিরুদ্ধে এক চাঞ্চল্যকর ব্যবস্থা নিল।
হাইকোর্টে আদালত অবমাননা মামলা সমিতির
সূত্রের খবর, সরকার নিয়ন্ত্রিত স্কুল শিক্ষকেরা প্রাইভেট টিউশন করা নিয়েই ২০২১-এ ‘গৃহশিক্ষক কল্যাণ সমিতি’র সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর দাস হাইকোর্টে মামলা করেন। যার সাপেক্ষে সমিতি জানায় যে, ২০২৩-এর ১ মে মামলার শুনানির পরে আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, ওই শিক্ষকদের টিউশন বন্ধের জন্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে তিন মাসের মধ্যে পদক্ষেপ নিতে হবে। যার দরুন স্কুলের শিক্ষকরা প্রাইভেট টিউশন করছেন না বলে পর্ষদ বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের কাছ থেকে মুচলেকা চায়। সমিতির অভিযোগ, শিক্ষকরা মুচলেকা দেওয়ার পরেও ফের টিউশন করছেন। যা নিয়ে গত ডিসেম্বরে তাই এই নিয়ে আদালত অবমাননা মামলা করেন সমিতি।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে বড় নির্দেশ হাইকোর্টের
এবার সেই মামলার ভিত্তিতে কলকাতা হাইকোর্ট আগামী ৮ সপ্তাহের মধ্যে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং জেলা স্কুল পরিদর্শককে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এদিন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে ‘যে কয়েকটি জেলার স্কুল পরিদশর্করা রিপোর্ট দিয়েছেন, তাতে কোথাও প্রাইভেট টিউশন করেন, এমন কোনও স্কুল শিক্ষকের ব্যাপারে কোনও তথ্য নেই।’ এমনকি এই বিষয়ে রাজ্য মধ্যশিক্ষা পষর্দও মেনে নেয় যে গত এক বছরে নয়টি জেলার স্কুল পরিদর্শক এই ব্যাপারে কাজ করলেও তাঁরা প্রাইভেট টিউশন সম্পর্কে তেমন কোনও তথ্য পাননি। তাই হাইকোর্ট, কমিশনার অফ স্কুল এডুকেশনকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং জেলা স্কুল পরিদর্শকদের নিয়ে এই সমস্যা সমাধানে রূপরেখা তৈরির নির্দেশ দেয়। এবং সেই পরিকল্পনা তৈরি করে আগামী আট সপ্তাহের মধ্যে বিষয়টি বাস্তবায়িত করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুনঃ কবে বর্ষা ঢুকছে বাংলায়? ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবের মধ্যেই সুখবর শোনাল IMD
প্রসঙ্গত, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ একটি নিয়ম জারি করেছিল যে সরকারি স্কুলের শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীদের প্রাইভেট টিউশন বন্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। কিন্তু তারপরও দেখা যাচ্ছে কম বেশি অনেক শিক্ষক পড়ুয়াদের পরীক্ষায় নম্বর কম দেওয়ার ভয় দেখিয়ে টিউশন পড়াতে বাধ্য করছেন। যা গুরুতর অপরাধ বলে আদালতে দাবি করেন প্রাইভেট গৃহ শিক্ষক কল্যাণ সমিতি। তাই এই ব্যাপারে ফের আরও একবার গর্জে উঠল সমিতি।