ইন্ডিয়া হুড ডেস্কঃ কিছুদিন আগেই ভোটের আবহে ২ মে বাংলায় প্রকাশিত হয় মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে জানানো হয় যে, এ বছর মাধ্যমিকে ৭ লক্ষ ৬৫ হাজার ২৫২ জন পড়ুয়া পাস করেছে। এ বছর পাশের হার ৮৬.৩১ শতাংশ। যা গত বছরের পাশের হারের থেকে .১৬ শতাংশ বেশি। এবারের মাধ্যমিকে ৪৬ জনের পরীক্ষা বাতিল হয় আর ২ জনের ফলাফল প্রকাশ করা হয়নি। এ বছরের মাধ্যমিকে ১ লাখ ১৮ হাজার ৪১১ জন ৬০ শতাংশের বেশি নম্বর পেয়েছে। এ বছর মাধ্যমিকের পাশের হারে সেরা উত্তরবঙ্গের কালিম্পং জেলা। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর। তৃতীয় কলকাতা ও চতুর্থ পশ্চিম মেদিনীপুর।
তবে মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণার ১৫ দিন পর কলকাতা হাইকোর্টের তরফে বড় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যার জেরে পর্ষদের ঘুম উড়েছে। আসলে অভিযোগ উঠেছে যে, এক পড়ুয়া সপ্তম স্থান পাওয়ার যোগ্য, কিন্তু পর্ষদের উদাসীনতায় তা হয়নি। এই মামলা কলকাতা হাইকোর্ট অবধি গড়ায়। তারপরই বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু এই মামলায় কড়া নির্দেশ দিয়েছেন।
তবে গোটা মামলাটি গত বছর মানে ২০২৩-র মাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে। জানা গিয়েছে যে, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বেলদা থানার জ্ঞানদ্বীপ বিদ্যাপীঠের ছাত্র সৌম্য সুন্দর রায় ২০২৩-র মাধ্যমিকে ৬৮২ নম্বর পেয়েছিল। এরপর সেই ছাত্রের বাবা দেবাশীষ রায় অভিযোগ করেন যে, তাঁর ছেলেকে কম নম্বর দেওয়া হয়েছিল।
মাধ্যমিকের নম্বর নিয়ে গাফিলতি পর্ষদের
সৌম্যর তরফে জীবন বিজ্ঞান খাতার পুনর্মূল্যায়নের জন্য পর্ষদের কাছে আবেদন করেছিল। কিন্তু পর্ষদ জানায় যে, নম্বরে আর কোনও পরিবর্তন করা যাবে না। এরপরই সৌম্য উত্তরপত্রের প্রতিলিপির জন্য আবেদন করে। সেখানে দেখা যায় যে, ৪টি প্রশ্নের উত্তর ঠিক দেওয়ার পরেও তাঁকে এক নম্বর করে কম দেওয়া হয়েছে। যার জেরে সে ১০০-র মধ্যে ৯৬ পায়। আর এই চার নম্বর কমের কারণে সৌম্য মাধ্যমিকে দশম স্থানে চলে যায়।
উল্লেখ্য, মাধ্যমিকে সেবার দশম স্থান অধিকারী ছাত্র পেয়েছিল ৬৮৩ নম্বর। সৌম্যর সব নম্বর যোগ হলে সে ৬৮৬ পেত। এরপরই সৌম্যর পরিবারের তরফে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে অভিযোগ করা হয়। ছাত্রের আইনজীবী জানান যে, কম নম্বর দেওয়ার কারণে ছাত্রটি মানসিক অবসাদে ভুগছে। আইনজীবী এও জানান যে, পর্ষদ ভুল না করলে সৌম্য সপ্তম স্থান অধিকার করত।
আরও পড়ুনঃ আকাশপথে ১২ হাজার কিমি রাস্তা, নয়া অধ্যায় শুরু হচ্ছে ভারতে! তাক লাগাবে গোটা বিশ্বকে
এরপরই বচারপতি বিশ্বজিৎ বসু মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আইনজীবীর কাছে জানতে চান যে, এত মেধাবী ছাত্র যাকে পুরো নম্বর দেওয়া উচিৎ, তাঁকেই কম নম্বর কেন দেওয়া হল? এই প্রশ্নের উত্তর না পেয়ে বিশ্বজিৎ বসু পর্ষদকে নির্দেশ দেন যে অবিলম্বে মূল্যায়ন করে ছাত্রকে যথাযথ নম্বর দেওয়া হোক। এর জন্য পর্ষদকে ৬ সপ্তাহ সময় দেওয়া হয় আদালতের তরফে