ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: রাজ্যে বরাবরই বেতন বৃদ্ধি নিয়ে এবং DA বৃদ্ধির লড়াই নিয়ে একাধিক সংগঠন, মামলা এবং আন্দোলন হয়েছিল। যার জেরে রাজ্য সরকারকে একাধিকবার হাইকোর্টে নানা সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় সরকারি শিক্ষকদের বেতন নির্ধারণ করা হয় তাঁদের শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী। অর্থাৎ শিক্ষাগত যোগ্যতা যত বৃদ্ধি পাবে বেতনও তত বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু সম্প্রতি শোনা গিয়েছে যে ২০ বছর ধরে একজন শিক্ষকের পর্যাপ্ত ডিগ্রি থাকলেও মিলছে না সঠিক বেতন।
ঘটনাটি কী?
সূত্রের খবর, ২০০৪ সালে হাড়োয়ার রথীন্দ্রনাথ সর্দার ভবতরণ সরকার বিদ্যালয়ে ভুগোলের শিক্ষক হিসাবে নিযুক্ত হয়েছিলেন। কিন্তু সেই সময় তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিল স্নাতক পাশ। তাই ডিগ্রি বাড়ানোর জন্য চাকরি করতে করতেই স্নাতকোত্তর ডিগ্রির জন্য পড়ছিলেন তিনি। তার জন্য অবশ্য স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় অনুমতিও নিয়েছিলেন। জানা যায় ওই বছরেই তিনি স্নাতকোত্তরের পরীক্ষায় বসেন এবং পাশ করেন। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী, স্নাতকোত্তর হওয়ার পর পর তাঁকে উপযুক্ত বেতন দেওয়া হচ্ছিল না। তাঁর বেতন স্নাতকের পর্যায়েই থেকে গিয়েছে। শিক্ষাগত যোগ্যতা বৃদ্ধি পেলেও তিনি বর্ধিত বেতন পাননি। এরপর তিনি আদালতে মামলা করেন।
মামলাকারীর অভিযোগ
আদালতে মামলাকারী রথীন্দ্রনাথ এর আইনজীবী ফিরদৌস শামিম জানিয়েছেন, ‘২০১৮ সালে রথীন্দ্রনাথের ক্যান্সার ধরা পড়ে। এর পর বেতন বৃদ্ধির জন্য জরুরি ভিত্তিতে তিনি স্কুলের ডিস্ট্রিক্ট ইনস্পেক্টরের বা DI এর কাছে আবেদন জানান। কিন্তু বার বার তাঁর আবেদন ফিরিয়ে দেওয়া হয়। তাই বাধ্য হয়ে তিনি হাই কোর্টে মামলা করেন।’ আর এই অভিযোগের ভিত্তিতে বিচারপতি বেশ ক্ষুব্ধ হন। এবং ওই মামলাকারী ক্যান্সার আক্রান্ত শিক্ষকের পক্ষে রায় প্রদান করা হয়।
সূত্রের খবর, গত বুধবার বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের বেঞ্চে সেই মামলার শুনানি ছিল। মামলাকারী শিক্ষককে তাঁর প্রাপ্য বেতন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। হাইকোর্ট জানিয়েছে, প্রায় ২০ বছরের সেই বর্ধিত বেতন স্কুল কর্তৃপক্ষকে দিতে হবে মামলাকারীকে। অবশেষে এই মামলার রায়ে স্বস্তি পেল রথীন্দ্রনাথ সর্দার।