ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: গত ৪ জুন প্রকাশিত হয়েছে চলতি বছরের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল। আর ভোটের ফলাফল প্রকাশ হতে না হতেই বাংলায় চারিদিক থেকে মিলেছে অশান্তির খবর। কোথাও দেখা গিয়েছে শাসক দল, বিরোধী পার্টির ওপর চড়াও হয়েছে, আবার কোথাও দেখা গিয়েছে বিরোধী পার্টি শাসক দলের ওপর চড়াও হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে দায়ের করা হয়েছে জনস্বার্থ মামলা। আর সেই মামলায় এবার রাজ্য সরকারকে তীব্র ভর্ৎসনা করল আদালত।
পশ্চিমবঙ্গে ভোট পরবর্তী হিংসা হানাহানি কোনও নতুন ঘটনা নয়। এই আগে ভোট মিটতেই পশ্চিমবঙ্গে অনেক পার্টির লোক জখম হয়েছেন, কেউ আবার প্রাণ হারিয়েছেন। এবারের লোকসভা ভোট পরবর্তী হিংসায় ইতিমধ্যেই বাংলায় ১১ জনের প্রাণ গিয়েছে বলে দাবি করেছেন আইনজীবীরা। শুধু তাই নয়, সন্দেশখালির একাংশ ভোট পরবর্তী হিংসার জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। তাই অবিলম্বে সম্পূর্ণ বিষয়টির ভার কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে তুলে দেওয়া হোক। এই মর্মেই মামলা ওঠে হাইকোর্টে।
ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে বড় পদক্ষেপ আদালতের
বিচারপতি কৌশিক চন্দের ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলা গ্রহণ করে। গতকাল আদালত এই মামলার প্রেক্ষিতে নির্দেশ দিয়েছে যে লোকসভা ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটলে সরাসরি রাজ্যের ডিজিকে ই-মেল মারফত অভিযোগ জানাতে পারবেন আক্রান্ত ব্যক্তি। যদি আদালত গ্রাহ্য অপরাধ হয় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে ডিজি স্থানীয় থানাকে উপযুক্ত ধারায় FIR দায়ের করার নির্দেশ দেবেন। FIR দায়ের করার পর উপযুক্ত পদক্ষেপ করবে পুলিশ। পাশাপাশি রাজ্যে কটি ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের অভিযোগ এসেছে এবং কটি ক্ষেত্রে FIR দায়ের করেছে পুলিশ এবং কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সেই সংক্রান্ত সমস্ত চুলচেরা বিশ্লেষিত রিপোর্ট জমা দিতে হবে রাজ্যের ডিজিকে।
সরকারকে তীব্র ভর্ৎসনা বিচারপতির
এছাড়াও বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, ‘এরাজ্যে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস কোনও অপরিচিত শব্দ নয়। সরকার যদি রাজ্যবাসীর জীবনরক্ষায় ব্যর্থ হয়, তাহলে আদালত উপযুক্ত নির্দেশ দেবে। আমরা রাজ্যের সমস্ত মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাই।’ প্রসঙ্গত, সপ্তম দফার ভোটপর্ব শেষে তেমন কোনও অশান্তির খবর চোখে না পড়লেও ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর অশান্তির আশঙ্কা করা হয়েছিল। সেই কারণে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের মেয়াদও বাড়ানো হয়েছিল। আর সেই আশঙ্কা সত্যিই করে একের পর এক হামলার খবর শাসক দলের বিপক্ষে উঠে এসেছে। যদিও সে অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসক শিবির।