ভারত একটি গণতান্ত্রিক দেশ। এখানে সবারই আওতার মধ্যে থেকে নিজের নিজের মত প্রকাশ করার স্বাধীনতা রয়েছে। কিন্তু শাসকের বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করে অনেকেই অনেক সময় চরম হয়রানির শিকার হয়েছে। পুলিশি হেনস্থা থেকে আইনি জটিলতা, কোনও কিছুই বাদ যায়নি। আর এরকমই এক দৃশ্য দেখা গেল বাংলায়।
কিছুদিন আগে নবান্ন থেকে লাইভ বৈঠক করছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে এক ব্যক্তির কমেন্ট করাই হয়ে যায় কাল। তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিস। তাঁর অপরাধ ছিল, মুখ্যমন্ত্রীর লাইভ চলাকালীন সে রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায় এবং শাসকদলের এক নেতার বিরুদ্ধে সেখানে কমেন্ট করেছিল। আর এই কারণেই নাকি তাকই পুলিস গ্রেফতার করে।
হাওড়ার ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করার মামলা হাইকোর্ট অবধি গড়ায়। সেখানে আজ বিচারপতি অমৃতা সিংহ বড় মন্তব্য করে ধৃত ব্যক্তিকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন। বিচারপতি বলেন, এক জন নাগরিকের বাক্স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করেছে পুলিশ। এরপই তিনি আজ বিকেল ৫টার মধ্যে ওই ব্যক্তিকে মুক্তির নির্দেশ দেন।
হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ধৃত ব্যক্তির পরিবার
জানা গিয়েছে যে, ধৃত এরশাদ সুলতান মুখ্যমন্ত্রীর লাইভ চলাকালীন এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায় ও স্থানীয় এক নেতার বিরুদ্ধে জলাজমি ভরাট করার অভিযোগ তুলেছিলেন। এরপরই নাকি হাওড়া শিবপুর থানার পুলিস সুলতানকে গ্রেফতার করে। ধৃত ব্যক্তির পরিবার এই মামলায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।
আরও পড়ুনঃ ২৭ জুলাই থেকে শুরু ডুরান্ড কাপ! কবে খেলা ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগানের? রইল বিস্তারিত
আজ এই মামলায় রায় দিতে গিয়ে রাজ্য পুলিশকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন বিচারপতি। অমৃতা সিংহ বলেন, ‘কারও বিরুদ্ধে কেউ কোনও অভিযোগ করলে বা ক্ষোভ জানালে, তাঁকে গ্রেফতার করা হবে? যাঁর বিরুদ্ধে বলেছেন, সেই অরূপ রায় কি অভিযোগ করেছেন? এই ঘটনায় পুলিশ নাক গলিয়েছে। এর মধ্যে তাদের ঢোকার কথা নয়। এক্তিয়ারও ছিল না। দু’জনের মধ্যে গোলমাল বা কাদা ছোড়াছুড়ি হল, আর তৃতীয় ব্যক্তি অভিযোগ জানানোয় এক জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে নিল? এটা আইন? এরপরই বিচারপতি সিনহা ওই ধৃত ব্যক্তিকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেন।