‘রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দিন’, হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির মন্তব্যে উথাল পাথাল

Published on:

calcutta-hc

ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: SSC মামলা এখন অতীত! এবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রসঙ্গে হালকা খোঁচা মন্তব্য করে বসলেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবাজ্ঞানম। গত কয়েকমাস ধরেই দেখা যাচ্ছে বাংলা জুড়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়কে ঘিরে নানা টানাপোড়েন চলছে। কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে কার রাশ থাকবে তা নিয়েও চলছে জোর সমালোচনা। যা নিয়ে রাজ্য ও রাজ্যপালের মধ্যে বার বার সংঘাত খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে। তবে এবার রাজ্য সরকারের বিজ্ঞপ্তি ঘিরে উঠে এল এক নতুন মতবিরোধ।

রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত

গত বছর এপ্রিল মাসে রাজ্য সরকার সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে। যেখানে বলা হয়েছে অনুমতি ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও মিটিং করা যাবে না, সমাবর্তন করা যাবে না। এমনকি কোনও উপাচার্য যদি বিদেশে যায় বা কোথাও ঘুরতে যেতে চায় সেক্ষেত্রেও অনুমতি লাগবে। অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনও কাজেই অনুমতি লাগবে। এবার এই বিজ্ঞপ্তির বিরুদ্ধে কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় নামে একজন ব্যক্তি কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সেই মামলা পুরোপুরি খারিজ করে দেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ।

WhatsApp Community Join Now

মামলা প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি

এদিন প্রধান বিচারপতি এই মামলার প্রসঙ্গে জানান, ‘রাজ্য স্টেট এইডেড বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কিছু নির্দেশিকা দিয়েছে। সেগুলি মোটেও কোনও রুল নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের যদি এই নির্দেশিকায় অসুবিধা হয় তাহলে তারা আদালতের দ্বারস্থ হোক।’ সেই সঙ্গেই হালকা চালে তিনি মন্তব্য করেন ‘সবথেকে ভালো হয়, রাজ্যে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দিন।’ তবে সেই মন্তব্য তিনি বেশ হালকা চালে বলেছিলেন। যা কোনওভাবেই কোনও নির্দেশ বা বিবৃতি নয়।

আরও পড়ুনঃ সন্দেশখালি অতীত, এবার আসছে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের স্ট্রিং ভিডিও! তুলকালাম বাংলায়

প্রসঙ্গত, এর আগে উপাচার্য নিয়োগ প্রসঙ্গে রাজ্য ও রাজ্যপালের মধ্যে সংঘাত খবরের শিরোনামে উঠে আসে। এমনকি এই প্রসঙ্গে হাইকোর্টে মামলাও দায়ের হয়। অভিযোগ ছিল উপাচার্য নিয়োগ করতে গেলে আগে আলোচনা করতে হয় রাজ্য সরকারের সঙ্গে। কিন্তু রাজ্যের সঙ্গে কোনও আলোচনা না করেই উপাচার্য নিয়োগ করেছেন আচার্য তথা রাজ্যপাল।

বাছাই করা গুরুত্বপুর্ন খবর পেতে গ্রুপে যুক্ত হোন