দুর্গাপুরঃ রাজ্যবাসীর জন্য রইল এবার বড় সুখবর। সাধারণ মানুষের কল্যাণে এবার বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। এবার রাজ্যের বুকে গড়ে উঠবে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত আরও এক ক্যানসার হসপিটাল। তাও কিনা একদম বিশ্বমানের। এর ফলে আর সাধারণ মানুষকে রাজ্যের বাইরে বা দেশের বাইরে যেতে হবে না কর্কট রোগের চিকিৎসা করাতে। সমগ্র পূর্ব ভারতে এমন হাসপাতাল হয়তো থাকবে না, এমন বড় হাসপাতাল গড়ে উঠতে চলেছে বাংলায়।
বাংলায় বড় ক্যানসার হসপিটাল
এখন আপনিও নিশ্চয়ই ভাবছেন যে বাংলার কোন জেলায় বিশ্বমানের ক্যানসার হাসপাতাল তৈরি হবে? তাহলে জানিয়ে রাখি, এই হাসপাতালটি তৈরি হতে চলেছে দুর্গাপুরে। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, এই হাসপাতালে আরও উন্নতমানের চিকিৎসা পরিষেবা, চিকিৎসক থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য কর্মীরা থাকবেন।
এমনিতে যত সময় এগোচ্ছে ততই বাংলাকে যেন দিশা দেখাচ্ছে শিল্প নগরী দুর্গাপুর। এই জেলাটি অত্যাধুনিক চিকিৎসার হাবও হয়ে উঠছে। এই দুর্গাপুর শহরে এমন বহু হাসপাতাল রয়েছে যেগুলি দেশের বাঘা বাঘা হাসপাতালগুলিকে টেক্কা দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটবে না। কিন্তু অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়ে বৃহৎ ক্যানসার হসপিটাল পেতে চলেছে এই শহরটি। এদিকে সরকারের এহেন সিদ্ধান্ত বেজায় খুশি সাধারণ মানুষও।
থাকবে ১,০০০ বেড
প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, দুর্গাপুরে যে ক্যানসার হাসপাতাল গড়ে উঠবে সেটিতে ১০০০টি বেড থাকবে। এই প্রসঙ্গে দুর্গাপুর মিশন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, প্রথমে ৫০০ বেড নিয়ে হাসপাতাল তৈরি করা হবে। এরপর বেডের সংখ্যা আরও ৫০০টি বাড়ানো হবে। দুর্গাপুর মিশন হাসপাতালের চেয়ারম্যান সত্যজিৎ বসু জানান, দুর্গাপুরে বিশ্বমানের একটি ক্যানসার হাসপাতাল তৈরি করা হচ্ছে। যেরকম হাসপাতাল পূর্ব ভারতের কোথাও নেই। প্রাথমিকভাবে যখন হাসপাতালের উদ্বোধন করা হবে, তখন কমপক্ষে ৫০০টি বেড থাকবে। তারপর ১,০০০টি বেডের হাসপাতালে পরিণত করা হবে।
হাসপাতালের বিশেষত্ব কী কী থাকবে?
এখন প্রশ্ন উঠছে, বিশ্বমানের এই হাসপাতালে কী কী বিশেষত্ব থাকবে? এই বিষয়ে সত্যজিৎ বসু জানান, বিভিন্ন ধরনের ক্যানসারের জন্য আলাদা বিভাগ থাকবে। আবার সেই বিভাগের অধীনে উপ-বিভাগও তৈরি করা হবে। দরকারে বিদেশ থেকেও ডাক্তার আনা হবে। ফলে চিকিৎসা করাতে এসে আর কোনওরকম হয়রানির শিকার হতে হবে না। ‘বেঙ্গল অ্যারোট্রোপলিস প্রজেক্ট’ (বিএপিএল) টাউনশিপে ২০ একর জমি কেনা আছে। সেখানেই ওই হাসপাতাল তৈরি করা হবে।