প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: গত মঙ্গলবার বিকেলে অবশেষে জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি মেনে বিনীত গোয়েলকে কলকাতা পুলিশ কমিশনারের পদ থেকে বদলি করা হয়। বর্তমানে সেই পদে এখন মনোজ ভার্মাকে নিয়ে আসা হয়েছে। কিন্তু সবকিছু শেষ হয়েও যেন কিছুই শেষ হচ্ছে না। আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এখনও রয়েছে সেই বিনীত গোয়েল। এবার সেই বিনীত গোয়েলকে ঘিরেই কলকাতা হাইকোর্টে জট বাঁধল।
ঘটনাটি কী!
গত ৯ আগস্ট আরজি কর মেডিক্যালে মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের পর খোলাখুলি নির্যাতিতার নাম প্রকাশ করে দেওয়ার ভয়ংকর অভিযোগ ওঠে কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের বিরুদ্ধে। আর এই গুরুতর অভিযোগে বিনীত গোয়েলের বিরুদ্ধে FIR দায়েরের দাবি জানিয়ে মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে।
গতকাল অর্থাৎ বুধবার বিনীত গোয়েলের বিরুদ্ধে মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে। সেখানে মামলাকারীর হয়ে আইনজীবী মহেশ জেটমালানি বিনীত গোয়েলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন। তিনি উল্লেখ করেন বিনীত গোয়েল নিজেই নির্যাতিতার নাম বলেছেন। এফআইআর করার নির্দেশ দেওয়া হোক বলে আর্জি জানান তিনি। সুপ্রিম কোর্টে এই মামলা পাঠানোর দাবিও জানানো হয়েছে। আইনজীবীর প্রশ্ন, এমন উচ্চপদে থেকেও কীভাবে নাম উল্লেখ করতে পারেন নির্যাতিতার?
বিনীত গোয়েলের মামলায় হাইকোর্টের স্পষ্ট বার্তা
এর পাল্টা জবাবে, বিনীত গোয়েলের আইনজীবী জানান, ইতিমধ্যেই বিনীত গোয়েলকে এডিজি পদে সরানো হয়েছে। এছাড়া সুপ্রিম কোর্টে এই সংক্রান্ত মামলা বিচারাধীন। তাই হাইকোর্টে এই মামলার কোনও গুরুত্ব নেই বলে। তবে প্রধান বিচারপতি এই মামলায় স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে বিনীত গোয়েলের বিরুদ্ধে মামলা জিইয়ে রাখা হচ্ছে। শীর্ষ আদালতে শুনানির পর ফের শুনানি হবে।
প্রসঙ্গত, আরজি কর কাণ্ডের আবহে কলকাতার তৎকালীন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল অনেক। তাঁর পদত্যাগের দাবিতে লালবাজার অভিযান করেছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা।