ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: খবরের শিরোনামে এই মুহূর্তে আরজি কর কাণ্ড জাঁকিয়ে বসেছে গোটা দেশ জুড়ে। এই নৃশংস এবং নরকীয় এক ট্রেনি ডাক্তার এর মৃত্যু রীতিমত উত্তাল করে তুলেছে রাজ্য রাজনীতি। সঠিক বিচারের তাগিদে দফায় দফায় আন্দোলন এবং মিছিলের কর্মসূচি যেন বেড়েই চলেছে। জনগণ আর চুপ নয়। এবার হয়তো এর শেষ দেখেই ছাড়বে। তাই তদন্তের চটজলদি ফলাফল দিতে যথেষ্ট চাপ বাড়ছে CBI এর উপর। আর এই আবহেই এবার আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে নিয়ে চরম পদক্ষেপ নিল CBI।
অসঙ্গতি সন্দীপ ঘোষের বয়ানে
কিছুদিন আগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা অর্থাৎ CBI আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে তাঁদের হেফাজতে নিয়ে আসে। এবং CGO কমপ্লেক্সে একাধিক প্রশ্নের জেরা করা হয়। কিন্তু আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বয়ানে মেলে একাধিক অসঙ্গতি। আর সেই কারণে কোনও রিস্ক না নিয়ে পলিগ্রাফ টেস্ট করার সিদ্ধান্ত নিতে পারে CBI। কারণ এখনও বেশ কিছু তথ্য অধরা, সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত। তবে এই প্রসঙ্গে আগে CBI এর আধিকারিকদের প্রথম বৈঠক হবে, তারপরেই সবুজ সংকেত পেলেই আদালতের দ্বারস্থ হবেন CBI। ইতিমধ্যেই সেই সংস্থার তদন্তকারীরা দিল্লির আধিকারিকদের সঙ্গে এই নিয়ে ভিডিয়ো কনফারেন্সে একটি বৈঠক করেছেন।
কী এই পলিগ্রাফ টেস্ট?
পলিগ্রাফ টেস্ট সাধারণত করা হয় মূলত কোনও ব্যক্তি মিথ্যে কথা বলছে কি না তা জানার জন্য এই পরীক্ষা করা হয়। চার থেকে ছয়টি সেন্সর দেওয়া থাকে। সাধারণত হাত এবং পায়ে সেন্সর যোগ করে করা হয়। একাধিক সংকেতগুলি কাগজের একটি স্ট্রিপে রেকর্ড করা হয়। সেখানে শ্বাসের হার, শ্বাস-প্রশ্বাসের পরিবর্তন, রক্তচাপ এবং কতটা ঘাম হচ্ছে তা পরীক্ষা করা হয়।
প্রসঙ্গত, কোনও ব্যক্তি যখন মিথ্যা কথা বলে, তখন তার মস্তিষ্ক থেকে P300 নামে একটি বিশেষ সংকেত দেওয়া হয়। যা তদন্তকারীদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ সংকেত। কারণ কোনও বিশেষ প্রশ্ন করার সময় অথবা বিশেষ প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় ওই স্নায়বিক সংকেতের জন্যই তার হৃদস্পন্দন ও রক্তচাপ বেড়ে যায়। তখনই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হয় তদন্তকারীদের।