নিয়োগ দুর্নীতির টাকা ঢুকেছে প্রভাবশালীর অ্যাকাউন্টে! হাইকোর্টে CBI-র রিপোর্ট পেশ হতেই চাঞ্চল্য

Published on:

CBI

ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের রেস কাটতে না কাটতেই ফের আরও এক দুর্নীতির মুখোমুখি রাজ্য সরকার। বাংলায় শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এর আগে টাকার পাহাড় দেখেছিল রাজ্যবাসী। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের দু’টি ফ্ল্যাট থেকে কোটি কোটি টাকার নগদ উদ্ধার হয়েছিল। এই দুর্নীতি মামলায় মোট ৩৬৫ কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ED। তবে সম্প্রতি প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গে উঠে এল এক বড় আপডেট।

প্রাথমিক দুর্নীতিতে অভিষেকের নাম!

গতকাল অর্থাৎ বুধবার, ED তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক এর ‘লিপ্‌স অ্যান্ড বাউন্ডস’ সংস্থা নিয়ে এক চাঞ্চল্যকর চার্জশিট তুলে ধরেছিল বিচারপতি অমৃতা সিনহার ডিভিশন বেঞ্চে। সেই রিপোর্ট নিয়ে ED জানায়, ‘এখনও পর্যন্ত ‘লিপ্‌স অ্যান্ড বাউন্ডস’ থেকে ১৪৮ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত নিশ্চিত করা হয়েছে। যার বাজারমূল্য ২৫০ কোটি টাকারও বেশি। গতকালই আরও প্রায় সাড়ে ১৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

WhatsApp Community Join Now

এরপরেই বিচারপতি সিনহা ED র ধীর তদন্তের গাফিলতি নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রশ্ন তোলেন ‘ কতদিনে শেষ হবে এই তদন্ত? যদি তদন্তের অগ্রগতি না দেখাতে পারেন, তা হলে অভিযুক্তরা জামিন পেয়ে যাবে।’ পাশাপাশি চার্জগঠনের বিষয়ে প্রশ্ন করা হয় ED কে। বিচারপতির প্রশ্নে ED জানায়, এখনও চূড়ান্ত চার্জশিট দাখিল হয়নি। তবে এর মাঝেই উঠে আসে আরও এক বিস্ফোরক তথ্য।

CBI এর চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট!

সূত্রের খবর, আদালতে মুখ বন্ধ করা একটি খামের ভিতরে একটি রিপোর্ট আদালতে জমা দেয় CBI। আর সেই রিপোর্ট দেখে বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ‘এভাবে মুখবন্ধ খামে রিপোর্ট জমা দিলে কার বিরুদ্ধে কী তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গিয়েছে তা মামলাকারী জানবে কী করে?’ তখন তার প্রতিত্তরে বিচারপতি সিনহা বলেন, ‘এই রিপোর্টের কতটা অর্ডারে উল্লেখ করা যায় তা আমি চেম্বারে গিয়ে ভেবে দেখছি।’

আরও পড়ুনঃ DA বৃদ্ধির পরই খুলল কপাল, সরকারি কর্মীদের লাভ হবে ৮০০০ টাকারও বেশি! রইল হিসেব

এবার প্রকাশ্যে সেই রিপোর্ট নিয়ে মুখ খোলেন বিচারপতি। জানা যায়, সেই রিপোর্টে CBI লিখেছে, একজন প্রভাবশালীর কোম্পানিতে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির ৩০ কোটি টাকা জমা পড়েছে। এমনকি এর সুনির্দিষ্ট প্রমাণও পেয়েছে CBI। এছাড়াও জানা গিয়েছে, একজন এজেন্ট এই টাকা তুলেছেন। তারপর সেই টাকা একজন মিডলম্যান কোম্পানির মাধ্যমে ওই প্রভাবশালীর কোম্পানিতে ঢুকেছে। শুধু প্রাথমিক নয়, SSC ও পুরসভা দুর্নীতির টাকা মিলে মিশে পৌঁছেছে প্রভাবশালীর সংস্থার অ্যাকাউন্টে। খুব শীঘ্রই এই তদন্তের অগ্রগতি হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে উদ্ধার করা টাকার পরিমাণ আরও বাড়বে।

বাছাই করা গুরুত্বপুর্ন খবর পেতে গ্রুপে যুক্ত হোন