আরজি কর কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র ভর্ৎসনা কেন্দ্রের! ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট নিয়ে চিঠি পাঠাল কেন্দ্র

Published on:

rg kar case

ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডে নবান্ন অভিযান নিয়ে এখন সরগরম রাজ্য-রাজনীতির পারদ। এত দিন হয়ে গেল কিন্তু কোনো বিচার হল না তিলোত্তমার। যার জেরে দফায় দফায় চলছে প্রতিবাদের আন্দোলন। এমনকি আজ পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের ডাকে নবান্ন অভিযানও শুরু হয়েছে। কিন্তু সেই অভিযানকে গতকাল অবৈধ বলে ঘোষণা করল পুলিশ। কারণ নবান্ন চত্বরে কর্মসূচি করতে গেলে পুলিশের অনুমতি। আর এই আবহেই কিছুদিন আগে কেন্দ্রীয় সরকার এর উদ্দেশে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সেই চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে দ্রুত বিচার এবং ১৫ দিনে শুনানি শেষের সওয়াল করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু গতকাল সেই চিঠিকে ভিত্তি করে পাল্টা জবাব দিলেন কেন্দ্রের নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবী। সেখানে তিনি বলেন যে মহিলা ও কন্যাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় রাজ্য সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ। রাজ্য বাকি পড়ে থাকা ১১টি ফাস্ট ট্র্যাক বিশেষ আদালত গড়তে ব্যর্থ। যেখানে ৪৮ হাজার ৬০০টি ধর্ষণ ও পকসো মামলা বকেয়া পড়ে আছে।

WhatsApp Community Join Now

কেন্দ্রের তোপে রাজ্য সরকার!

এছাড়াও তিনি আরও বলেন, ৩০ জুন পর্যন্ত ৪০৯টি পকসো আদালত সহ ৭৫২টি ফাস্ট ট্র্যাক বিশেষ আদালত চলছে ৩০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে। যে আদালতে এ পর্যন্ত ২ লক্ষ ৫৩ হাজার মামলার ফয়সালা হয়ে গিয়েছে। এই প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গকে ১২৩টি ফাস্ট ট্র্যাক বিশেষ আদালত যার মধ্যে ২০টি বিশেষ পকসো আদালত এবং ১০৩টি যৌথ বিচার প্রক্রিয়ার আদালত গঠন করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু এর একটিও জুনের মাঝামাঝি পর্যন্ত কার্যকর হয়নি। এবং তিনি এও বলেন যে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন রুখতে দেশে যথেষ্ট কড়া আইন রয়েছে। তবে এই আইন কার্যকরের বিষয়টি সম্পূর্ণ রাজ্য সরকারের হাতে রয়েছে।

জরুরিকালীন হেল্পলাইন নম্বর গঠন করতে বিলম্ব রাজ্যের

শুধু তাই নয় রাজ্যে একের পর এক মহিলাদের এমন অত্যাচারের ঘটনাকে উদ্দেশ্য করে রাজ্য সরকারকে তীব্র ভর্ৎসনা করে তিনি বলেন যে রাজ্য মহিলাদের হেল্পলাইন (WHL), ইমার্জেন্সি রেসপন্স সাপোর্ট সিস্টেম (ERSS) এবং চাইল্ড হেল্পলাইনের মতো জরুরিকালীন হেল্পলাইন ফোন নম্বর ব্যবস্থা এখনও তৈরি করতে পারেনি। যেগুলি কিনা জরুরি অবস্থায় বিশেষ করে মহিলা ও শিশু অত্যাচারের মুহূর্তে অত্যন্ত জরুরি এবং সহায়ক। যদিও এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার বারংবার রাজ্য সরকারকে অনুরোধ ও মনে করিয়ে দিয়েছিল কিন্তু এখনও সেই কাজ ফেলে রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার।

বাছাই করা গুরুত্বপুর্ন খবর পেতে গ্রুপে যুক্ত হোন