ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এর ঘটনায় রীতিমত জেরবার গোটা পশ্চিমবঙ্গ। এক মাসের বেশি হয়ে গেলেও এখনও তিলোত্তমার ধর্ষণে সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায় ছাড়া কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি CBI। আর এই আবহে উঠে এসেছে হাসপাতালে নানা আর্থিক দুর্নীতির কাণ্ড। যার তদন্ত ইতিমধ্যে শুরু করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ED। এবং গ্রেফতার হয়েছে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ।
সেই সূত্রে গত শুক্রবার রাজ্যের সাত জায়গায় তল্লাশি চালায় ED। সন্দীপ ঘোষের বেলেঘাটার বাড়িতে যান ইডির আধিকারিকরা। তিনি ছাড়াও হাওড়ার সাঁকরাইলে আরও দুজনের বাড়িতে যান কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকরা। তাঁদের মধ্যে একজন ভেন্ডর বিপ্লব সিনহা এবং অন্যজন বিপ্লব-ঘনিষ্ঠ কৌশিক কোলে। সব জায়গায় চিরুনি তল্লাশি চালায় ED। সেই তল্লাশিতে এবার কী কী বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তার খতিয়ান দিল ED। গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার রাতে সমাজমাধ্যমে ED সেই তথ্য জানিয়েছে।
আর্থিক দুর্নীতির টাকায় কেনা সম্পত্তি!
এর আগেই জানা গিয়েছিল যে সে দিনের তল্লাশিতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি সম্পত্তি সংক্রান্ত নথি যেমন মিলেছে তেমনই বেশ কয়েকটি ডিজিটাল ডিভাইসও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তল্লাশি অভিযানের সময় জানা গিয়েছে সম্পত্তি সম্পর্কিত নথি, যেমন মুর্শিদাবাদে একটি ফ্ল্যাট, কলকাতায় তিনটি ফ্ল্যাট, সন্দীপ এবং সঙ্গীতার কলকাতার দু’টি বাড়ি এবং তাঁদের মালিকানাধীন একটি খামারবাড়ি রয়েছে। যেগুলি মনে করা হচ্ছে আর্থিক দুর্নীতির টাকার মাধ্যমেই কেনা হয়েছিল।
গ্রেফতার প্রসূন চট্টোপাধ্যায়
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার, বৈদ্যবাটিতেও যায় ED। সেখানে কুণাল রায় নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে দু’ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে তল্লাশি চলে। পাশাপাশি তল্লাশি চলে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুভাষগ্রামে প্রসূন চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতেও। টানা প্রায় সাত ঘণ্টা তল্লাশি চালানোর পর ED আটক করে তাঁকে।