ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: কিছুদিন আগে বিটি রোডে আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে আয়োজিত কর্মসূচিতে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় মোটরবাইক নিয়ে ঢুকে পড়ার অভিযোগ উঠেছিল কলকাতা পুলিশের এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে। এবং যতক্ষণ না পর্যন্ত সেই মদ্যপ সিভিল ভলেন্টিয়ার এবং এজেন্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হচ্ছিল, ততক্ষণ আন্দোলনকারীরা পথ অবরোধ রেখেছিল। প্রায় ৫ ঘণ্টা বিটি রোড অবরোধ করেন আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা। শেষে অভিযোগ দেয়ার কপি পড়ুয়াদের দেখানো হলে অবরোধ তোলা হয়। আর এই আবহেই এবার সিভিক ভলেন্টিয়ারদের জন্য আরও কড়া পদক্ষেপ নিল লালবাজার।
একের পর এক অভিযোগ সিভিক ভলান্টিয়ারদের বিরুদ্ধে
গত কয়েক দিন ধরে শহরে একাধিক ঘটনায় বার বার সিভিক ভলান্টিয়ারদের নাম জড়াচ্ছে। যার ফলে সাধারণের মনে প্রশ্ন জাগছে কেন এই সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না? কেন বার বার তাদের দাপট সহ্য করতে হচ্ছে সাধারণদের? এছাড়াও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যেত থানার মোটরবাইক নিয়ে সিভিক ভলান্টিয়ারদের ঘুরতে। অনেক ক্ষেত্রে সেই বাইক নিয়ে আবার তাঁরা ব্যক্তিগত কাজও করতেন। আর তাই এবার সিভিক ভলান্টিয়ারদের বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ নিল লালবাজার থানা।
সিভিক ভলেন্টিয়ারদের জন্য নয়া নির্দেশ!
সূত্রের খবর, সিভিক ভলান্টিয়ারেরা এখন থেকে আর থানার গাড়ি ব্যবহার করতে পারবেন না। যদি কোথাও টহলদারির প্রয়োজন হয় তাহলে সেখানে সিভিক ভলান্টিয়ারকে নিয়ে যেতে হলে তাঁর সঙ্গে কনস্টেবল বা পুলিশকর্মীকে থাকতে হবে। কিন্তু কোনোদিনও একা কোনও সিভিক ভলান্টিয়ার পুলিশের বাইক ব্যবহার করতে পারবেন না।
প্রসঙ্গত, আরজি কর হাসপাতালে এক চিকিৎসক-পড়ুয়াকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনাতেও উঠে এসেছে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়। তদন্ত সূত্রে জন্য গিয়েছিল, সে পুলিশের বাইক নিয়ে গত ৯ আগস্ট আরজি কর হাসপাতালে গিয়েছিল। পরে সেই বাইক বাজেয়াপ্ত করেন তদন্তকারীরা। তবে এখনও CBI সেদিনের ঘটনা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করেই চলেছে।