প্রেমে প্রত্যাখ্যানের জের, কেরল থেকে বাংলায় ফিরে চলন্ত বাসে জ্যোতির গলায় কোপ বাবু শেখের

Published on:

ketugram murder case

প্রীতি পোদ্দার, পূর্ব বর্ধমান: প্রেম প্রত্যাখান করে দিলে যে এর যে কী ভয়ংকর পরিণতি হয়, তার উদাহরণ এর আগে আমরা অনেক পেয়েছি। কখনও প্রেমিকাকে অ্যাসিড ছুঁড়ে মারছে তো আবার কখনও পেতে ছুরি মারার মত ঘটনাও ঘটতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি প্রেমিকের এক ভয়ংকর রূপ দেখতে পেল গোটা রাজ্যবাসী।

ঘটনাটি কী?

সূত্রের খবর, গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটে পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের কোমরপুরে। সেখানে আন্নাগ্রামে মাসির বাড়ি থেকে কাঁদরা ব্লক অফিসে এসেছিল জ্যোতি খাতুন নামে ওই অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী। সঙ্গে ছিল তার মাসি। তারপর সেখানে ব্লকের কাজ শেষ করে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিল। বাস মিলতেই মাসির সঙ্গেই উঠে যায় ওই ছাত্রী। তারা দুজনেই আন্না গ্রামে ফিরছিল। আর বিপত্তি ঘটে সেখানে। ওই বাসে আগে থেকেই উঠে বসেছিল বাবু শেখ নামে এক যুবক। সে বসেছিল একেবারে ছাত্রীর পেছনের সিটে। চলন্ত বাসে আচমকাই ছুরি বের করে সে জ্যোতির গলায় পেছন থেকে চালিয়ে দেয়। আর সঙ্গে সঙ্গে গলার নলি দুফাঁক হয়ে যায়। বাসের সিট থেকে ড্রাইভারের কেবিনে লুটিয়ে পড়ে জ্যোতি। কিন্তু তৎক্ষণাৎ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।

WhatsApp Community Join Now

তল্লাশির পর ধৃত যুবক

এদিকে খুন করেই বাস থেকে নেমে গা ঢাকা দেয় বাবু শেখ। অবশেষে বহু খোঁজাখুঁজির পর অভিযুক্তকে কেতুগ্রাম থানার গোপালপুরের কাছে ধান খেতের ভিতর থেকে গ্রেপ্তার করে কেতুগ্রাম থানার পুলিশ। আশঙ্কা করা হচ্ছে ছাত্রী খুনে অভিযুক্ত বাবুকে আরও অনেকেই সাহায্য করেছে আপাতত তাদেরকে খোঁজার তল্লাশি শুরু করেছে পুলিস।

এদিকে মৃতার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস ছয়েক আগে কেরালা থেকে বাবু শেখ বাড়িতে ফেরে। তার পর থেকেই জ্যোতির পিছু নেয়। সবসময় তাকে ফলো করতে থাকে। এমনকি স্কুল, টিউশন এর জায়গাতেই চলে যেত বাবু। গোটা ঘটনায় ভেঙে পড়েছে মৃতার পরিবার।

বাছাই করা গুরুত্বপুর্ন খবর পেতে গ্রুপে যুক্ত হোন