‘কন্যাশ্রী, রূপশ্রীর কোনও মানেই নেই!’ সরকারি প্রকল্প নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলে দিলেন দেব

Published on:

dev

ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ড এখন গোটা বিশ্বের মুখে মুখে প্রচারিত হচ্ছে। আর এই প্রচার ততদিন চলবে যতদিন না পর্যন্ত তিলোত্তমার সুবিচার হবে। তাইতো আজ রাজপথে সমস্ত সংকোচ বোধ দূর করে নেমেছে একাধিক সাধারণ মানুষ। পায়ে পা মিলিয়েছেন বিনোদন জগতের একাধিক ব্যক্তিত্ব। এমনকি আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে পথে নেমেছিলেন দেবও। আর্টিস্ট ফোরামের সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। তবে এবার নিজের দলের মহিলা প্রকল্পগুলি নিয়ে করে বসলেন বিস্ফোরক মন্তব্য।

গতকাল অর্থাৎ বুধবার ঘাটালে একাধিক কর্মসূচিতে যোগদান করেছিলেন অভিনেতা তথা সাংসদ দেব। সেখানেই প্রসঙ্গ ওঠে আরজি কর ঘটনার। এবং সেই ঘটনা নিয়ে দেব বলেন, “খুবই দুঃখজনক এবং নিন্দনীয় ঘটনা। এর তীব্র প্রতিবাদ জানানো উচিত। ভবিষ্যতে আর কারও নাম যাতে তিলোত্তমা না রাখতে হয়, সেই ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। তবে সেক্ষেত্রে সকলকে হাতে হাত রেখে লড়ে যেতে হবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে এইসময়ে রাজনৈতিক দলগুলি পরস্পরকে দোষারোপ করছে। কিছুদিন আগে, অসমের মুখ্যমন্ত্রী আমাদের মুখ্যমন্ত্রীকে কিছু বলছেন। আবার আমাদের মুখ্যমন্ত্রী অন্য মুখ্যমন্ত্রীকে বলছেন। এই ঘটনা শুধু আমাদের বা অন্য রাজ্যের ইস্যু নয়। এটা আমাদের গোটা দেশের ইস্যু।”

WhatsApp Community Join Now

কন্যাশ্রী এবং রূপশ্রী নিয়ে মুখ খুললেন দেব

এখানেই তিনি থেমে থাকলেন না। এরপরই রাজ্যের মহিলা প্রকল্পগুলি নিয়েও নানা মন্তব্য করলেন। কন্যাশ্রী, রূপশ্রী বা কেন্দ্রের বেটি বাঁচাও প্রকল্পের কথা টেনে তিনি বলেন, “এই কন্যাশ্রী, রূপশ্রী বা বেটি বাঁচাওয়ের কোনও মানে নেই, যদি আমরা আমাদের দেশের মেয়েদের না বাঁচাতে পারি। আমার মনে হয় কেন্দ্রীয় সরকারের সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা দরকার। সব মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসা দরকার। এটা কীভাবে আটকানো যায়, অপরাধীদের কী শাস্তি দেওয়া যায়, তা দেখা দরকার।”

সাধারণ মানুষের আন্দোলনে পূর্ণ সমর্থন দেবের

এছাড়াও তিনি আরও বলেন যে, “ সাধারণ মানুষদের শান্তিপ্রিয় আন্দোলনকে সমর্থন করছি। তবে বাংলায় সরকারকে ফেলে দেওয়া কিংবা অস্বস্তিতে ফেলার সময় নয় এটা। এই শান্তিপ্রিয় আন্দোলনকে এমন ভাবে দেখতে চাই যে, ভারতের মানুষ ১০০ বছর মনে রাখবে। এছাড়াও এই আন্দোলনের মাধ্যমে তারা মনে রাখবে যে এই আন্দোলনের হাত ধরেই ধর্ষণ-বিরোধী আইন হয়েছে। এরপর আর কোনো মহিলাকে এই ভয়ংকর ঘটনার সম্মুখীন হতে হবে না। আর তখনই আন্দোলনের জয় হবে এবং আন্দোলনকারীদের জয় হবে।”

আরও পড়ুনঃ ‘উর্দির দাগ ওঠার নয়’, আরজি করের প্রতিবাদে পুলিশের চাকরি ফেরালেন প্রয়াত সার্জেন্টের স্ত্রী

প্রসঙ্গত, গতকাল অর্থাৎ বুধবার, সংসদ দেব প্রথমে ঘাটাল মহকুমা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের বিভিন্ন বিষয়ে রোগী কল্যাণ সমিতির সঙ্গে আলোচনা করেন। ঘাটাল মহকুমা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ডায়ালিসিস মেশিনের সূচনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেন। এরপর সর্বশেষে জনতার দরবার ও ঘাটাল পাঁশকুড়া রাজ্য সড়কে পথবাতির উদ্বোধন করেন তৃণমূল সাংসদ।

বাছাই করা গুরুত্বপুর্ন খবর পেতে গ্রুপে যুক্ত হোন