কলকাতাঃ কাকভোরে বাংলার আনাচে কানাচে যখন রেডিওতে বেজে ওঠে সেই পরিচিত বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কন্ঠস্বর, তখন অজান্তেই ভোরের শিউলি চুপিসারে কানে এসে বলে যায়, মা আসছে। পুজো আসছে। নীলাকাশে শারদ কমল ও কাশের বনে অবাধ মাতামাতি বাঙালিকে মাতিয়ে তোলে দুর্গাপূজার আনন্দস্রোতে। তাই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব হল দুর্গোৎসব।
দুর্গা পূজা বাংলার সংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। তবে দুর্গাপূজার সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় জড়িয়ে থাকে। এর মধ্যে অন্যতম প্রতি বছর দেবী দুর্গার আগমন ও গমন। মা দুর্গা কিসে আসেন এবং কিসে বিজয়া যাত্রা করেন, তা বিশেষ আধ্যাত্মিক এবং সামাজিক বার্তা দেয়। ২০২৪ সালে দেবী দুর্গার আগমন ও গমন কিসে? এর প্রভাবও বা কেমন পড়বে? চলুন দেবীর আরাধনা করার আগে এই বিষয়টি একটু জেনে নেওয়া যাক।
২০২৪ সালে দেবী দুর্গার আগমন ও তার প্রভাব
পঞ্জিকার গণনা অনুযায়ী, ২০২৪ সালে দেবী দুর্গার আগমন হবে দোলায় বা পালকিতে। পালকিতে দেবীর আগমনকে শাস্ত্র অনুযায়ী শুভ বলা হয় না। এটি দুর্যোগ, অশান্তি এবং সামাজিক অস্থিরতার সংকেত বহন করে বলে মনে করা হয়। কারণ পালকিতে দেবীর আগমন সাধারণত প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা বহন করে। প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে, এ ধরনের আগমনে বন্যা, খরা বা অস্বাভাবিক প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্ভাবনা থাকে। এতে কৃষিক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে, ফসলহানি এবং খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে। এছাড়াও, সামাজিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতা বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকে।
২০২৪ সালে দেবী দুর্গার গমন ও তার প্রভাব
পঞ্জিকা মতে, এবছর দেবীর গমন হবে ঘোড়ায়। এটিকেও সাধারণত অশুভ লক্ষণ হিসেবে দেখা হয়। কারণ, ঘোড়ায় গমন যুদ্ধ, সংঘাত এবং বড় ধরনের অস্থিরতার প্রতীক। শাস্ত্র অনুযায়ী, এটি বিশেষত সামরিক সংঘাত বা সামাজিক বিশৃঙ্খলার পূর্বাভাস দেয়। এছাড়াও দেবীর ঘোড়ায় গমনের অর্থ সাধারণত আর্থিক মন্দা এবং ব্যবসা-বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব। ঘোড়ায় গমন যুদ্ধ বা সংঘাতের প্রতীক হতে পারে। সামাজিক শান্তি বিনষ্ট হতে পারে, এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নষ্ট হতে পারে, যার ফলে দেশজুড়ে একটি অস্থির পরিবেশ সৃষ্টি হতে পারে।