ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: উইকএন্ডে একটু ছুটি পেলেই ব্যাগপত্র গুছিয়ে নিয়ে বন্ধু বান্ধবদের নিয়ে সোজা চলে যেতে ইচ্ছা করে সমুদ্রের হাওয়ার স্বাদ গ্রহণ করতে। আর কাছে পিঠে সমুদ্র সৈকত বলতে বাঙালির সবচেয়ে প্রিয় জায়গা হল দিঘা। কেউ গাড়িতে কেউ বা আবার ট্রেনে করে পৌঁছে যায় দিঘায়। কিন্তু পর্যটকদের জন্য এবার নিয়ে আসা হল এক বড় সুবিধা। যার ফলে এখন দিঘা পৌঁছাবেন আরও কম সময়ে। চলুন আজকের প্রতিবেদনের মাধ্যমে সম্পূর্ণটা জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত।
গোয়ার ফিল এবার দিঘায়
গ্রীষ্ম হোক কিংবা বর্ষা, দীঘার সমুদ্র সৈকত ঘুরতে যাওয়াই হল একমাত্র ভরসা। সারা বছর ভিড়ে একেবারে ঠাসা থাকে গোটা সৈকত। তবে এই ভিড় যেন সবচেয়ে বেশি বাড়ে বর্ষাকালে। কারণ একদিকে যেমন মেঘলা আকাশে ঝিরঝিরে বৃষ্টি উপভোগ করা যায় ঠিক তেমনই সমুদ্রের মাতাল করা হাওয়া যেন মন মাতিয়ে দেয়। তাই এই আবহে যাত্রীদের কথা মাথায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। তাঁদের পরিষেবায় যাতে কোনো রকম বাঁধা না আসে সেদিকে নজর রাখা অত্যন্ত জরুরি। তাইতো এবার গোয়ার ফিল যাতে বাঙালি দিঘায় উপভোগ করে তার জন্য প্রশাসন নিতে চলেছে এক বড় উদ্যোগ।
প্রশাসনের বড় উদ্যোগ
সূত্রের খবর, ওড়িশার সীমান্ত থেকে শুরু করে দিঘার ওয়েলকাম গেট পর্যন্ত তৈরি হতে চলেছে ফোর লেনের রাস্তা। ইতিমধ্যেই এই রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য DPR তৈরি করা হয়েছে। যার ফলে প্রথম দফায় কাজ কিছুটা শুরু হয়েছে। শুধু তাই নয় এই কাজের জন্য এও পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে যে দিঘা গেট পর্যন্ত এলাকায় কোথায় কতটা জমি জবরদখল হয়ে রয়েছে। যদি দেখা যায় পর্যাপ্ত জমি জবর দখল করা হচ্ছে। তাহলে সেই জমি থেকে সরিয়ে দেওয়া কাজ দ্রুত সরিয়ে দেওয়া হবে। সেই সঙ্গেই তাদের পুনর্বাসন দেওয়া যায় কি না সেটাও দেখা হচ্ছে। এইমুহুর্তে কাঁথি পুরসভা কর্তৃপক্ষ জেলা প্রশাসন, রাজ্য প্রশাসন দিঘাকে পুরোদমে সাজিয়ে তুলতে সবরকম উদ্যোগ নিচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ তৈরি ব্লু প্রিন্ট, স্বাধীনতা দিবসের পরেই DA বড় ঘোষণা করবে রাজ্য! চলে এল পাকা খবর
প্রসঙ্গত, একদিকে চওড়া রাস্তা তৈরির আনন্দে যেমন মন মাতোয়ারা ঠিক তেমনই প্রায় কাজ শেষের দিকে হতে চলেছে দীঘার জগন্নাথ মন্দিরের। তাই সেক্ষেত্রে আগামী দিনে এই জগন্নাথ মন্দিরেও প্রচুর দর্শনার্থী আসবেন। যার ফলে অসংখ্য গাড়ি চলাচলের সংখ্যা ক্রমশ বাড়তে থাকবে। সেকারণেই রাস্তা সম্প্রসারণের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। তার উপর এই মুহূর্তে দিঘা যাওয়ার জন্য একাধিক বাসের বন্দোবস্ত করছে রাজ্য সরকার। তার উপর আবার ইদানিং বাইকে চেপে লং ড্রাইভে দিঘা যাওয়ার একটা প্রবনতা রয়েছে। সেক্ষেত্রে রাস্তা চওড়া হলে আখেরে দুর্ঘটনার আশঙ্কা কমবে।