ইন্ডিয়া হুড ডেস্কঃ ভয়ংকর তাপপ্রবাহে ফুটছে গোটা বাংলা। পশ্চিমের জেলাগুলোর অবস্থা আরও শোচনীয়। তাপমাত্রার পারদ ৪০ এর নীচে নামছে তো নাই উল্টে বেড়েই চলেছে। যদিও খানিক স্বস্তির বার্তা দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। আগামীকাল থেকে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টিপাত হবে। তবে তার আগেই ঘটল এক আজব ঘটনা। ম্যাজিক করেই স্কুলে ঝেঁপে এল বৃষ্টি! এও কি সম্ভব?
ঘটনাটি ঘটেছে দিঘার রামনগর এলাকার সোনপুরের আনন্দ নিকেতন নার্সারী স্কুলে। চাঁদি ফাটা গরমে একবারে হাঁসফাঁস অবস্থা পড়ুয়াদের। পাখার নিচে বসলেও দরদর করে ঘামে ভিজছে স্কুলের পোশাক বা ইউনিফর্ম। আর এই অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মাঝেই সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার মাথায় এল এক ম্যাজিক। গরম থেকে বাচ্চাদের বাঁচাতে স্কুলের মধ্যেই তিনি কৃত্রিম বৃষ্টির ব্যবস্থা করে বসলেন। যা দেখা অবাক স্থানীয় এলাকার বাসিন্দারা।
অভাবনীয় কৃত্রিম ব্যবস্থা
প্রচণ্ড গরমে পড়ুয়াদের একটু স্বস্তি দিতে স্কুলের তিনতলা ঘরের টিনের চালায় ওয়াটার কুলিং সিস্টেম অর্থাৎ এক বিশেষ ধরনের ফোয়ারা লাগানো হয়েছে। যা থেকেই ঝরছে অঝরধারা। বাচ্চারা সেই দৃশ্য দেখে বেজায় খুশি। বাইরে যেখানে প্রখর রোদে তাপমাত্রা ৪২-৪৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস। সেখানে স্কুলের ভিতরের তাপমাত্রা ২৮-২৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস হয়ে যায়। সবটাই দেখে মনে হচ্ছে কৃত্রিম নয় একেবারে প্রাকৃতিক উপায়ে ঝরছে বৃষ্টি, শুধু বাদ পড়ে গেছে মেঘের গর্জন। বেশ খুশি অভিভাবকেরাও।
প্রধান শিক্ষকের বক্তব্য
কৃত্রিম বৃষ্টির মত অভাবনীয় এই আইডিয়া প্রসঙ্গে সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষক গোপীকৃষ্ণ শাসমল কে জিজ্ঞাসা করায় তিনি জানান, এই গরমে পড়ুয়া সহ শিক্ষক শিক্ষিকারা নাজেহাল হয়ে পড়েছে। শিক্ষার গঠন প্রায় ঝিমিয়ে পড়েছিল। তাই এই অবস্থায় কীভাবে পড়ুয়াদের পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া যায় তা ভাবতে গিয়েই কৃত্রিম বৃষ্টির কথা মাথায় আসে৷ মোটরের সাহায্যে জল তুলে বাগানে জল দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত জলের ফোয়ারা ব্যবহার করে এই কৃত্রিম বৃষ্টির ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ এর ফলে বাচ্চারাও স্বস্তি পাচ্ছে, পড়াশোনাও চলছে৷