ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: দেশের রেল ব্যবস্থাকে উন্নত করে তুলতে একের পর এক বড় পদক্ষেপ নিয়ে চলেছে ভারতীয় রেল। ঠিক তেমনি রাজ্যের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করতে এবং পর্যটন বাড়ানোর লক্ষ্যে নয়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে পূর্ব রেল। শুধু তাই নয় রাজ্যের সংস্কৃতি এবং পর্যটন ব্যবস্থাকে আরও প্রসারিত করতে তাই ইতিমধ্যেই তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেলপথ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার পথে এগিয়ে চলেছে।
তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেল প্রকল্প
তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেল প্রকল্পটি এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধির একটি নতুন দিগন্তের সূচনা করে। মসৃণ ভ্রমণ অভিজ্ঞতার মাধ্যমে, রেলের এই উদ্যোগ অঞ্চলটিকে পর্যটন এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের শিখরে নিয়ে যাওয়ার জন্য তৎপর হয়ে উঠেছে। পূর্ব রেল সূত্র মাধ্যম জানা গিয়েছে এই ব্যবস্থার অন্যতম লক্ষ্য হল পোড়ামাটির মন্দিরের জন্য বিখ্যাত বিষ্ণুপুর শহরের সঙ্গে হুগলির অন্যতম জনপ্রিয় শৈবক্ষেত্র তারকেশ্বরকে সংযুক্ত করা। এছাড়াও জানা গিয়েছে সার্কিট রুটের মধ্যবর্তী স্টপেজ হিসেবে থাকবে কামারপুকুর এবং জয়রামবাটি।
কতটা এগিয়েছে কাজ?
বিষ্ণুপুরের বড়গোপীনাথপুর থেকে জয়রামবাটি ৭.১ কিমি পর্যন্ত রেল লাইন ও সেতু নির্মাণের কাজ দ্রুতগতিতে চলছে। প্রায় ৭০ শতাংশ কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। এছাড়াও কামারপুকুর ও জয়রামবাটি স্টেশনের বাকি নির্মাণের কাজেও হাত দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে জয়রামবাটি থেকে কামারপুকুর এই ৫ কিমি পথ জমি অধিগ্রহণে বিলম্বের কারণে বিশেষত ২.৫ কিলোমিটার অংশের কাজের অগ্রগতি বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। তবে, দ্রুত সেই সমস্যার সমাধান হয়ে গিয়েছে। এবং কামারপুকুর থেকে গোঘাট 900 মিটার বিস্তৃত ভাবাদিঘি অঞ্চল বাদে এই বিভাগের বেশিরভাগ বড় কাজ সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে । এবং সেখানকারও জমি সংক্রান্ত সমস্যা দ্রুত মেটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু সেই সমস্যা যেন আরও প্রকট নিচ্ছে। তাই তো ভাবাদিঘির কাছে এখনও কোনও রকম কাজ শুরু হয়নি ।
সম্প্রতি এই বিষয়ে পূর্ব রেলওয়ে CPRO কৌশিক মিত্র জানান, ‘কাজ চলছে তড়িঘড়ি । এলাকার মানুষজন যদি আমাদের আরও সহযোগিতা করেন তাহলে খুব ভালো হয় । 2025 সালের মধ্যেই কাজ শেষ হবে বলে আশা করা যায় ।’ বাস্তবে এই প্রকল্প সম্পূর্ণরূপ নির্মিত হয়ে গেলে বিষ্ণুপুর-তারকেশ্বরের মধ্যে যোগাযোগ যেমন সহজ হবে, তেমনই তীর্যযাত্রীদের পক্ষেও কম খরচে ও কম সময়ে তারকেশ্বর, কামারপুকুর, জয়রামবাটি ও বিষ্ণুপুরের মদনমোহনকে দর্শন করা সম্ভব হবে।