ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালে দ্বিতীয় বর্ষের সেই ডাক্তারি পড়ুয়ার ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় একের পর এক সত্য উদঘাটিত হয়েই চলেছে। বেরিয়ে আসছে একের পর এক মোড় ঘোরানো লুকোনো তথ্য। উঠে আসছে কিছু ভয়ংকর CCTV ফুটেজ। যা নিয়ে ক্রমেই রহস্যের জাল বিস্তার করছে। এদিকে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে CBI গোটা তদন্তের দায়ভার নিয়েছে। কিন্তু এবার এই ঘটনা নিয়ে যৌথ ভাবে জোট বাঁধতে দেখা গেল ED কে। অর্থাৎ এবার ED র স্ক্যানারে আরজি কর-এর প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। যার ফলে আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন ও বিতর্কিত অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ আরও চাপের মুখে পড়লেন।
জানা গিয়েছে আরজি কর হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে এবার সক্রিয় হয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট তথা ED। সূত্রের খবর, গতকাল অর্থাৎ সোমবারই সন্দীপ সংক্রান্ত নথিপত্র দিল্লিতে প্রবর্তন ভবনে ইডির সদর দফতরে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে সবুজ সঙ্কেত মিললেই আরজি করের আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে ECIR দায়ের করতে পারে এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এদিকে CBI দফতরে ফের আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার সকালেও হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন সন্দীপ। সকাল ১০টা নাগাদ CBI অফিসে প্রবেশ করেন তিনি।
সন্দীপের বাড়ি থেকে অনেক তথ্য জোগাড় করল CBI
এই নিয়ে টানা ১০ দিন মুখোমুখি হতে হচ্ছে সন্দীপ-সিবিআই কে। প্রতি দিনই হাজিরা দিতে হচ্ছে তাঁকে। দীর্ঘ ক্ষণ ধরে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব। গত রবিবার CBI আধিকারিকেরা অভিযানে গিয়েছিলেন সন্দীপের বাড়িতে। বাড়ি থেকে সবুজ কাপড়ে বোচকা ভরে নথিও নিয়ে আসে তারা। আসলে CBI দায়ের করা FIR এ মোট চার জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়েছিল যার মধ্যে অন্যতম ছিলেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। আরজি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলির অভিযোগও ছিল মূলত সন্দীপের বিরুদ্ধেই। সরকারি টাকার অনিয়ম থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য ভবনের অনুমতি ছাড়া টেন্ডার বণ্টন, স্বজনপোষণ-সহ বিস্তর অভিযোগ তুলেছেন তিনি। এবার তার সঙ্গেই জুরলো আরও এক অভিযোগ। আর সেটি হল আর্থিক দুর্নীতি।
১৫ জনের বাড়িতে CBI হানা
প্রসঙ্গত, এই আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে প্রথম মামলাটি করে CBI। আর ED সেই FIR ভিত্তিতে ECIR করে। শুধু সন্দীপ ঘোষই নয়, ইডির ECIR-এ আরও কয়েকজনের নাম রয়েছে বলে সূত্রের খবর। গত রবিবার আরজি করের আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে বেলেঘাটায় সন্দীপের বাড়ি থেকে শুরু করে আরজি করের প্রাক্তন সুপার সঞ্জয় বশিষ্ঠ, আরজি করের ফরেন্সিক মেডিসিন বিভাগের ডেমনস্ট্রেটর দেবাশিস সোম-সহ প্রায় ১৫ জনের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছিলেন CBI আধিকারিকেরা।