ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২ বছর ধরে জেলবন্দি হয়ে রয়েছেন মানিক ভট্টাচার্য ৷ দীর্ঘ সময় ধরেই জামিনের আর্জি করে চলেছেন নিয়োগ কাণ্ডে ধৃত মানিক ভট্টাচার্য। তাঁর অভিযোগ, দু’বছর ধরে তদন্ত করেও তাঁর বিরুদ্ধে প্রমাণ জোগাড় করতে পারেনি CBI। প্রথম চার্জশিট যেটা সিবিআই ফাইল করে সেখানেও তিনি অভিযুক্ত নন। আর এই আবহেই এবার মানিক ভট্টাচার্য এর বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ তুলে ধরল ED।
মানিকের বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ আদালতে!
গতকাল অর্থাৎ সোমবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের এজলাসে ইডি-র আইনজীবী ফিরোজ এডুলজির বক্তব্য, “আজ উনি কাঁদছেন, কিন্তু ওনার পরিকল্পিত কেলেঙ্কারির জন্যে বহু মানুষের ক্ষতি হয়েছে এবং রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা ২০ বছর পিছিয়ে গিয়েছে। ক্যানসারের মতো শিক্ষা ব্যবস্থাকে জর্জরিত করেছে এই কেলেঙ্কারি।”
কোটি কোটি টাকা লেনদেনের অভিযোগ
এছাড়াও তিনি দাবি করেন, ‘উত্তরবঙ্গ এডুকেশনাল সোসাইটি ও ট্রাস্ট’ নামে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে প্রত্যেকটি কলেজ থেকে ৫০০০০ টাকা আদায় করা হয়েছিল পরিকাঠামো উন্নয়ন খাতে। এবং ছাত্রদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার নামে মাথাপিছু ৫০০০ টাকা করে নেওয়া হয়েছিল। এই ভাবে ২ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়েছিল। এ ছাড়াও, মৃত্যুঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় নামে এক মৃত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে লেনদেন করা হয়েছিল। কিন্তু ED এর সমস্ত অভিযোগ সম্পূর্ণ ভাবে নাকচ করে দেন মানিক।
এদিন মানিক আদালতে জানিয়েছেন, “ আমার বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে টাকা নেওয়ার অভিযোগ আছে, যার তদন্ত চলছে। কিন্তু কোনও প্রমাণ এখনও দিতে পারেনি কোনও গোয়েন্দা সংস্থাই।” তিনি এও জানান যে, তাঁর বিরুদ্ধে যে যা অভিযোগ করেছে সেটা যে ভুল, তিনি তা প্রমাণ করে ছাড়বেন। আদালতে এর আগের দিন নিজের হয়ে সওয়াল করতে গিয়ে কেঁদে ফেলেছিলেন প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় ধৃত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক।