পার্থই নয়, চাকরি বিক্রির কোটি কোটি টাকা ঢুকেছিল এর অ্যাকাউন্টে! নাম ফাঁস করল ED

Published on:

SSC Recruitment Scam

ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি এবং চাকরি বিক্রির মামলায় একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে খবরের শিরোনামে। বিভিন্ন সূত্র ধরে ঠিক জায়গায় ছক্কা হাকাচ্ছে ED এবং CBI। যার দরুন শাসক দলের তাবড় তাবড় নেতারা এখন জেলের ঘানি টানছে। তবে সম্প্রতি দুর্নীতি মামলায় ED তুলে ধরল এক বিরাট তথ্য।

নয়া মোড় নিল SSC নিয়োগ মামলা

আজ অর্থাৎ শুক্রবার SSC নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল কলকাতা নগর দায়রা আদালতে। সেখানে বিচারক প্রশান্ত মুখোপাধ্যায়ের এজলাসে শুনানি চলাকালীন ধৃত ব্যবসায়ী প্রসন্ন রায়ের বিরুদ্ধে আদালতে এক বিস্ফোরক রিপোর্ট জমা দেয় ED। যেখানে বলা হয়েছে, ৬ বছরে চাকরি ‘বিক্রি’ করে ৭২ কোটি টাকা জমা পড়েছে প্রসন্ন রায়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। কিন্তু ED র এই দাবিকে মানতে নারাজ প্রসন্নের আইনজীবীর। তিনি স্পষ্ট জানান, যে তাঁর মক্কেলের অ্যাকাউন্টে যে অর্থরাশি জমা পড়েছে, তা ব্যবসার টাকা। এর সঙ্গে নিয়োগের কোনও সম্পর্ক নেই।

WhatsApp Community Join Now

ED র হাতে উঠে এল বিস্ফোরক তথ্য!

এদিকে ED-র আইনজীবীর স্পষ্ট দাবি, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানতে পেরেছে, ৬ বছরে ৭২ কোটি টাকা জমা পড়েছে প্রসন্ন রায়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। যা চাকরি বিক্রির টাকা বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। কিন্তু সেক্ষেত্রে বিচারক মুখোপাধ্যায় প্রশ্ন তুলেছে , কত জনের কাছ থেকে চাকরির টাকা নেওয়া হয়েছিল। তবে প্রশ্ন শুধু বিচারকের নয়, এই একই প্রশ্ন তুলেছে, প্রসন্নের আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা।

আরও পড়ুনঃ এবার ব্যবস্থা নেওয়া হবে! হাইকোর্টের তীব্র ভৎসনার মুখে পশ্চিমবঙ্গ সরকার, তুলকালাম রাজ্য

উল্লেখ্য, ২০২২ সালে SSC নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রসন্নের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে তিনি উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন প্রধান শান্তিপ্রসাদ সিংহের ‘ঘনিষ্ঠ’ এবং চাকরি দুর্নীতির এক জন ‘মিডলম্যান’। শুধু শান্তিপ্রসাদ নয়। CBI সূত্রে জানা যায় সম্পর্কে তিনি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ভাগ্নি-জামাই ছিল। তাঁর অফিসে তল্লাশি করে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছিল CBI এর হাতে৷ যার দরুণ তাঁকে গ্রেফতার করা হলেও গ্রেফতার করা হলেও চার্জশিট দেওয়ার পর নির্দিষ্ট সময় পার হয়ে গেলেও তাঁর প্রেক্ষিতে কোনও পদক্ষেপ না করায় বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন প্রসন্ন। এবং বেশ কিছু শর্ত দিয়ে CBI এর মামলায় তাঁকে জামিন দেয় শীর্ষ আদালত। এর পর তাঁকে আবার ED গ্রেফতার করে।

বাছাই করা গুরুত্বপুর্ন খবর পেতে গ্রুপে যুক্ত হোন