ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: গতকাল মঙ্গলবার সাত সকালে উত্তর ২৪ পরগনায় দেগঙ্গা ব্লকের বেড়াচাপায় পিজি হাই টেক রাইস মিলে এদিন হানা দেয় ED। রাইসমিলের বাইরে এবং ভিতর ঘিরে ফেলে CRPF। রাইস মিলের সঙ্গেই রয়েছে রাইস মিলের মালিকের সাদা রঙের বিলাসবহুল বাড়ি। সেই বাড়ির গায়েই আবার লেখা দেগঙ্গা-১ তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয়। শুধু দেগঙ্গা নয় বসিরহাট এবং ভাঙর এলাকাতেও হামলা করেছে ED। এখনও অবধি বিদেশ ও মুকুল নামে দু’জনের নাম উঠে আসছে। পাশাপাশি বাকিবুর রহমান ঘনিষ্ঠ একাধিক ব্যক্তির বাড়ি ও রাইস মিলে ম্যারাথন তল্লাশি শুরু হয়েছিল।
রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে আগেই গ্রেফতার হয়েছেন বাকিবুর রহমান। প্রায় ২১ ঘণ্টা তল্লাশি অভিযানের পর দেগঙ্গার বেড়াচাঁপার কাউকেপাড়ায় বাকিবুর রহমানের চালকল থেকে বেরিয়ে এসেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ED আধিকারিকেরা। বাকিবুরের আত্মীয় মুকুল রহমানের বাড়িতে এখনও তল্লাশি চালাচ্ছে ED-র একটি দল। ED সূত্রে খবর, বাকিবুর রহমানের মামাতো ভাই হল মুকুল ও বিদেশ। আনিসুর রহমান ওরফে বিদেশ আবার দেগঙ্গা ব্লক তৃণমূল সভাপতি। অন্যদিকে এই বাকিবুর রহমান হল আবার প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ঠ। তাই সেক্ষেত্রে আশঙ্কা করা হচ্ছে যে বিদেশের রাইস মিল- ই ছিল রেশন দুর্নীতির আখড়া।
গ্যারেজে কোটি কোটি গাড়ির আখড়া
এছাড়াও সূত্রের খবর, পিজি হাই টেক রাইসমিলের মালিক আলিফ নূর মুকুল ও আনিসুর রহমানের গ্যারাজে রয়েছে ৬ টি বিলাসবহুল গাড়ি। হুন্ডাই আলকাজার, টয়োটা ফরচুনার, মিৎসুবিশি পাজেরো, জিপ কম্পাস, মারুতি সুজুকি জেন এর মত কোটি টাকার উপর গাড়ির সম্ভার এই গ্যারাজে। যার মধ্যে টয়োটা ফরচুনার গাড়িতে নেমপ্লেট আনিসুর রহমান ওরফে বিদেশেরই। তিনিই দেগঙ্গা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি। কী করে তাঁর কাছে এত গাড়ির সম্ভার আসল তা খতিয়ে দেখছে ED।
কী বলছে আনিসুর রহমান?
ED তল্লাশির পর সাংবাদিকদের সঙ্গে মুখোমুখি হন আনিসুর রহমান। তিনি জানিয়েছিলেন, ‘ওরা যা যা নথি চেয়েছে সবটাই দিয়েছি। একটা মোবাইল নিয়ে গিয়েছে। কিছুই পায়নি। দেশের দায়িত্বশীল নাগরিক, বাংলার দায়িত্বশীল নাগরিক ও তৃণমূল কংগ্রেসের দায়িত্বশীল কর্মী হিসাবে আগামীতেও তদন্ত সহযোগিতা করব।’