ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের মাঝেই আরও একবার অস্বস্তিতে রাজ্য সরকার! রেশন দুর্নীতির তদন্তে নেমে ED র হাতে উঠে এসেছে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য! নিয়োগ দুর্নীতি, কয়লাকাণ্ড, গরু পাচার ইত্যাদি নানা দ্রষ্টব্যমূলক দুর্নীতি মামলার মধ্যে অন্যতম নজর কেড়েছে রেশন দুর্নীতি মামলা। এই মামলার অভিযোগে ইতিমধ্যে জেলবন্দী রয়েছে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। কিন্তু সম্প্রতি এই রেশন দুর্নীতি কাণ্ডকে ঘিরেই উঠে এল ভয়ংকর তথ্য।
সাঁড়াশি তল্লাশি ED র!
সূত্রের খবর, বাংলার রেশন মামলার তদন্তের সূত্রেই রেশন কার্ড সংক্রান্ত কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর জানতে খাদ্য দফতরকে ইতিমধ্যেই চিঠি পাঠিয়েছে ED। জানতে চাওয়া হয়েছে, রাজ্যে কতগুলি অ্যাক্টিভ রেশন কার্ড বা চালু রেশন কার্ড রয়েছে। অর্থাৎ চালু থাকা রেশন কার্ডের সংখ্যা কত? শুধু তাই নয়, ED র আরও প্রশ্নের মুখে পড়েছে খাদ্য দফতর। ২০১৯ সালের আগে পর্যন্ত রাজ্যে মোট কত রেশন কার্ড এর সংখ্যা এবং বর্তমানে সেই রেশন কার্ডের সংখ্যা কততে দাঁড়িয়েছে জানতে চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি রেশন কার্ড ডিজিটালাইজড হওয়ার সময় রাজ্যে মোট কত রেশন কার্ড বাতিল হয়েছে সেই পরিসংখ্যানও জানতে চেয়েছে ED।
খাদ্য দফতরকে ফের তলব ED র!
মূলত রেশন কার্ডের মাধ্যমেও রেশনে দুর্নীতি হয়েছে কী না সেই উত্তর খুঁজতে আসরে নেমেছে ED। বিগত কয়েক মাস ধরেই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার অবধি করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এর আগে বেশ কয়েকবার খাদ্য দফতরকে চিথি পাঠিয়েছে ED। কিন্তু কোনও বারেই কোনো উত্তর মেলেনি। এদিকে হাল ছাড়তে নারাজ এনফোর্সমেন্ট ডিপার্টমেন্ট। তাই আরও একবার চিঠির নোটিশ ধরিয়ে দিল খাদ্য দফতরকে।
আরও পড়ুনঃ কলকাতায় একদম নয়া রুটে মেট্রো, ছুটবে হাওড়া থেকে! হয়ে গেল বড় ঘোষণা
জানা যায় ২০১৬ সাল থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে রেশন দুর্নীতি সংক্রান্ত ছটি FIR পুলিশের কাছে দায়ের হওয়া সত্ত্বেও তারা এ ব্যাপারে কোনও রকম পদক্ষেপ করেনি বলে দাবি করেছে ইডি। গত বছর অক্টোবর মাসে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের আটক করার সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী তথা চাল-গমের মিল মালিক বাকিবুর রহমান এবং বনগাঁর প্রাক্তন পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্যকেও।