প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডের ঘটনায় আজ সকাল সাড়ে দশটায় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের আদালতে শুনানি হওয়ার কথা। বিচারের মোড় কোনদিকে ঘুরবে এবং CBI আজ আদালতে তদন্তের কোন তথ্য তুলে ধরবে তাই নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন গোটা রাজ্য। আর এদিকে সবার নজর যখন সুপ্রিম কোর্টের রায়ের দিকে ঠিক তখনই ED সকাল সকাল ফের সাঁড়াশি অভিযান চালানো শুরু করল কলকাতার ৬ টি বিশেষ জায়গায়। জানা গিয়েছে সকাল সকাল শ্রীরামপুরের সিঁথিতে তৃণমূল বিধায়ক সুদীপ্ত রায়ের বাড়ি ও নার্সিংহোমে তদন্ত শুরু করল ED।
সুদীপ্ত রায়ের বাড়িতে এবার ED হানা!
শ্রীরামপুরের তৃণমূল বিধায়ক সুদীপ্ত রায় আর জি কর মেডিক্যালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান হলেন সুদীপ্ত রায়। গত ৯ আগস্ট আরজি কর মেডিকেল কলেজে নারকীয় ঘটনা ঘটার পর থেকেই একপ্রকার বেপাত্তা হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও কোনো রেসপন্স পাওয়া যায়নি। এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিটি রোডের পাশে শ্রীরামপুরের তৃণমূল বিধায়ক সুদীপ্ত রায়ের বাড়িতে হানা দিয়েছিল CBI। আর আজ সকাল ৬টা ৪৫ নাগাদ ফের আর্থিক তদন্তের উদ্দেশে সুদীপ্ত রায়ের বাড়ি যেতে হল ED কে। সেখানেই রয়েছেন সুদীপ্ত রায়। এছাড়াও ED-র আরেকটি টিম আবার বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডের কাছে ওষুধ ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দেয়। এবং ওই একই অঞ্চলের রাধা নিকেতন অ্যাপার্টমেন্টে ওষুধ ব্যবসায়ী সন্দীপ জৈনের ফ্ল্যাটেও হামলা করে ED।
কে এই সন্দীপ জৈন?
জানা গিয়েছে সন্দীপ জৈন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে মেডিক্যালের ইক্যুয়েপমেন্ট সাপ্লাই করতেন। এবং সেখান থেকে কমিশন পেতেন সন্দীপ ঘোষ। তাই সেই সূত্রে বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডে তাঁর বাড়ি ও অফিসে ED হামলা করেছে। ইতিমধ্যেই আখতার আলির অভিযোগের ভিত্তিতে আর্থিক তদন্তে নেমে টানা ১০ দিন জেরা করার পর আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করেছিল CBI। পাশাপাশি ধৃত সন্দীপ ঘোষের চিনার পার্কের বাড়ি-সহ তিন জায়গায় চিরুনি তল্লাশি চালায় ED। তাঁর শ্যালিকার বাড়ি থেকে পাওয়া যায় উত্তরপত্র। এমনকি সন্দীপ ঘোষের মা ও বাবাকে ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার আরজি কর হাসপাতালে খুন ও ধর্ষণের মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে। পাশপাশি CBI এর হাতে গ্রেফতার হলেন টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। তাদের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ লোপাট ও ইচ্ছাকৃতভাবে দেরিতে FIR করার অভিযোগ উঠেছে। তাই সবমিলিয়ে আরজি কর কাণ্ডে গ্রেফতারির সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াল তিন।