ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীর স্কুলের কাজ বাদ দিয়ে এমন কিছু কাজ করছেন, যা তাঁদের পেশাগত ভাবে করা উচিত না। নানারকম অফিসিয়াল কাজ করা থেকে শুরু করে একাডেমিক কাজ। ফলত স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের বিভিন্ন সময়ে সমস্যায় পড়তে হয়েছে। এমনিতেই গরমের অত্যাধিক ছুটির কারণে পড়াশোনায় বেশ ঘাটতি দেখা গিয়েছিল। সেই পরিস্থিতিতে এই মুহূর্তে জোরকদমে সিলেবাস পূরণ করার মধ্যেও অন্যান্য কাজ করে চলেছে শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীরা। তাই এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে আর না হয়, তাই শিক্ষা দফতরের তরফে থেকে কড়া পদক্ষেপের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
শিক্ষকদের উদ্দেশে জরুরি বিজ্ঞপ্তি
সূত্রের খবর, কমিশনার অফ স্কুল এডুকেশন সম্প্রতি একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। যেখানে পরিষ্কার করে উল্লেখ করা রয়েছে যে স্কুল চলাকালীন শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীরা অন্য কোনও কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন না। এবং সরকারি কোনও নির্দেশ, নির্বাচন সংক্রান্ত কোনও কাজ ছাড়া অন্য কোনও কারণে ছুটি নিলে, প্রধান শিক্ষক বা স্কুলের কার্যকরী সমিতির থেকে অনুমতি নিতে হবে। যদি কেউ এই নিয়মের অন্যথা করে তাহলে তাঁকে বিভাগীয় তদন্তের আওতায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এমনকি প্রত্যেক মাসে প্রতিটি স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের সেই শিক্ষক বা শিক্ষককর্মীকে এই সংক্রান্ত তথ্য স্যালারি রিকুইজেশন স্লিপের সঙ্গে জমা দিতে হবে।
এই প্রসঙ্গে বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, ‘২০১৮ সালে শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের জন্য যে আচরণ বিধি চালু করা হয়েছিল তাতে অনেক নিয়ম বলা হয়েছিল। কিন্তু এই নিয়মের মাঝেই প্রশ্ন হচ্ছে, সরকার এই আচরণবিধি নতুন করে কার্যকরী করার ক্ষেত্রে কতটা আগ্রহী? কারণ, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, শাসক ঘনিষ্ঠ শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরাই এই ধরণের নির্দেশিকাকে তোয়াক্কা না করে নিজের মর্জি মত চলেছে। তাই সরকারের উচিত নিজেদের সমর্থক শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের আগে সংযত করা, তাহলেই বাকিরা শুধরে যাবে।’
প্রধান শিক্ষকদের দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন!
তবে কোনো কোনো সরকারী স্কুলে দেখা যায় বাকি শিক্ষকদের সঙ্গে প্রধান শিক্ষকদের সম্পর্ক একটু অন্যরকম থাকে। ফলত সেই অবস্থায় নজরদারির কাজ যদি প্রধান শিক্ষক করে তাহলে তার পরিণতি অন্যরকম হবে। এই প্রসঙ্গে অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেস-এর সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতি বলেন, ‘বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষক শিক্ষাকর্মীরা তাদের প্রাপ্য ছুটি নিয়ে কোথায় কী করবে, সেই বিষয়টির নজরদারি প্রধান শিক্ষকরা করবেন কী ভাবে? স্কুলের সময় কাজ ফাঁকি দিয়ে কে কোন কাজের সঙ্গে যুক্ত আছে, এই বিষয়ে নজরদারি স্কুল জেলা পরিদর্শকদেরই চালাতে হবে। প্রধান শিক্ষকরা এই নজরদারির কাজ করলে এর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে।’