ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: দিন যত এগোচ্ছে সমাজ ততই অ্যাডভ্যান্স হয়ে পড়ছে। সম্পূর্ণটাই যেন যন্ত্র নির্ভর হয়ে পড়ছে অর্থাৎ বলাই যায় রোবটিক সমাজ। আর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল এইমুহুর্তে গোটা বিশ্বজুড়ে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা AI যেন শোরগোল ফেলে দিয়েছে। ঠিক যেমনটা কম্পিউটার আবিষ্কারের আগে তৈরি হয়েছিল। আর এই আবহে যেখানে AI বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সবজায়গায় প্রভাব বিস্তার করেছে সেখানে রেল ব্যবস্থায় বা বাদ যাবে কেন। তাইতো এবার ভারতীয় রেলও ভরসা রাখছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সে।
সূত্রের খবর, দেশের মধ্যে প্রথম AI সুরক্ষা সিস্টেম পরিচালিত পদ্ধতিতে ট্রেন চলাচল ও গতিবিধি পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি স্থাপন করা হল নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে। আর এই পদ্ধতির নাম রাখা হয়েছে অটোমেটিক ট্রেন এগজামিনেশন সিস্টেম বা ATES। সম্প্রতি উত্তরবঙ্গের NJP ও লাগোয়া এলাকায় একাধিকবার ট্রেন দুর্ঘটনার খবর শিরোনামে উঠে এসেছে। যার ফলে নিরাপত্তা নিয়ে বারংবার প্রশ্ন উঠছে। তাই পরপর দুর্ঘটনার প্রেক্ষিতে NJP তে ATES কার্যকরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এক নজরে জেনে নেওয়া যাক এর কার্যকারিতা সম্পর্কে।
কী কী তথ্য তুলে ধরা হবে?
এই ATES এর মাধ্যমে চাকার তাপমাত্রা থেকে রেল ট্র্যাকে কোথাও লাইন ভাঙা আছে কিনা বা রেল ট্র্যাক সরে গিয়েছে কি না, ইঞ্জিনে কোনও গোলমাল রয়েছে কি না, সমস্ত তথ্যই জানতে পারবে লোকো পাইলট। আসলে এই সমস্ত তথ্য ইঞ্জিনে থাকা ডিসপ্লে বোর্ডে তুলে ধরা হবে। শুধু ইঞ্জিন ডিসপ্লে তে নয়, এই তথ্য চলে যাবে চালকের মোবাইল, মেকানিক্যাল সেকশন, সংশ্লিষ্ট রেলের শীর্ষকর্তাদের কাছেও। যার ফলে দুর্ঘটনা ঘটার আগেই সকলে সতর্ক হয়ে যাবে এবং বিকল্প উপায় বের করে রেল দুর্ঘটনা এড়ানো যাবে।
কী বলছেন রেলের জনসংযোগ আধিকারিক?
এছাড়াও ট্রেনের কোন কোচে যদি কোনো ত্রুটি ধরা পড়ে সেক্ষেত্রেও এলার্ট বার্তা দেওয়া হবে। ওই কোচের অ্যাক্সেল নম্বর সহ পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য দেওয়া হবে। অর্থাৎ ম্যাসিভ পরিবর্তন আসতে চলেছে এই বিশেষ প্রযুক্তির মাধ্যমে। এই প্রসঙ্গে উত্তর-পূর্ব সংযোগ রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কপিলকিশোর শর্মা বলেছেন, ‘ভারতের প্রথম NJP স্টেশনে ATES কার্যকর করা হয়েছে। আর যদি এনজেপিতে এই সাফল্য গুরুত্বপূর্ণ আকার ধারণ করে তাহলে এই প্রযুক্তি দেশের সর্বত্র কার্যকর করা হবে।