ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: ভরা বর্ষার মরশুমে দিঘা, শংকরপুর, মন্দারমণি, তাজপুর সহ উপকূলবর্তী এলাকায় মৎস্যজীবীদের মাছ ধরার প্রস্তুতি চলে জোর কদমে। তার উপর কিছুদিন আগেই ‘ব্যান পিরিয়ড’ কাটিয়ে ছন্দে ফিরেছিল মৎস্যজীবীরা। গত ১৪ জুন উঠছে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা। আর এই আবহেই আরও একবার ফের সমুদ্রে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল। মাথায় বজ্রাঘাত মৎস্যজীবীদের।
ফের একবার জারি হল মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা!
সূত্রের খবর, ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশান বা DRDO- র পরীক্ষার জন্য আগামী ১৭ থেকে ১৯ জুলাই এবং ২৪ থেকে ২৬ জুলাই পর্যন্ত সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে দিঘার মৎস্যজীবীদের। আসলে ওই ৬ দিন জুনপুট থেকে মিশাইল উৎক্ষেপণের ফ্লাইট ট্রায়ালের জন্য এই দিনগুলিতে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে ডিআরডিও ও মৎস্য দফতরের তরফে। জানা গিয়েছে, সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে এই নিষেধাজ্ঞা ব্যবস্থা। তবে এই নিষেধাজ্ঞা প্রথম নয়। এর আগে গত ১৬ মে থেকে ৩০ মে পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়েছিল।
এইরূপ বারংবার নিষেধাজ্ঞার জেরে বড়সড় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে মৎসজীবীদের। তাও আবার পর পর টানা বেশ কয়েকদিন। যার ফলে তাঁদের ব্যবসার বেশ ক্ষতি হচ্ছে। এমনিতেই বর্ষা সেইরূপ না হওয়ায় ইলিশের আকাল পড়েছে। তার উপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা তাঁদের কাজে বাঁধা সৃষ্টি করছে। তাই গত বৃহস্পতিবার জুনপুট ভূমিরক্ষা কমিটির পক্ষ থেকে জনবহুল এলাকায় মিশাইল উৎক্ষেপণ কেন্দ্র তৈরির পরিকল্পনা বাতিল করার দাবিতে কাঁথি ১ বিডিওর কাছে ডেপুটেশন দেওয়া হয়। একইরকমভাবে পূর্ব মেদিনীপুর মৎস্যজীবী ফোরামের পক্ষ থেকেও মিশাইল উৎক্ষেপণ কেন্দ্র বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে নামার ঘোষণা করা হয়েছে।
আন্দোলনের প্রসঙ্গে কী বলছে মৎস্য অধিকর্তা?
মৎস্যজীবীদের এইরূপ আন্দোলন প্রসঙ্গে, কাঁথি মৎস্য দফতরের সহ মৎস্য অধিকর্তা সুমন সাহা বলেন, ‘DRDO-র তরফে আমাদের কাছে একটি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। যেখানে নোটিশের একটি প্রতিলিপি মৎস্যজীবী ও মৎস্যজীবী সংগঠনগুলির কাছে পাঠানো হয়েছে। সেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে নির্দিষ্ট কয়েকটি দিনে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। কিন্তু কী কারণে এই নিষেধাজ্ঞা সেটা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। তবে DRDO বলতে পারবে।’
আরও পড়ুনঃ বদলাচ্ছে নিয়ম, এবার LPG সিলিন্ডারের ক্ষেত্রে চালু হচ্ছে নয়া প্রক্রিয়া! বাড়বে গ্রাহক ঝঞ্ঝাট?
অন্যদিকে মৎস্যজীবী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক দেবাশিস শ্যামল বলেন, ‘এইভাবে বারবার মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলে সাধারণ মাৎস্যজীবীরাই সবথেকে বেশি ক্ষতির মুখে পড়বে। তাঁদের সংসার রয়েছে। তাঁদের রুটি-রুজি এই পেশার উপর নির্ভরশীল। সেই কারণে তাঁরা আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’