ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: ২ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলেছে গরমের ছুটি। অবশেষে গত ১০ জুন সোমবার ছুটি শেষে কিছু কিছু সরকারী স্কুলগুলিতে ক্লাস শুরু হয়েছে। কিন্তু ক্লাস শুরু হলেও পঠনপাঠন এর গতি যেন ক্রমেই নিম্নমুখী হয়ে গিয়েছে। অসহ্য গরম এবং তীব্র তাপপ্রবাহের জেরে কাহিল অবস্থা ছাত্র ছাত্রীদের। তাই এই আবহে স্কুলে যাওয়া খানিক দুষ্কর হয়ে উঠেছে পড়ুয়াদের কাছে।
উত্তরবঙ্গে ইতিমধ্যে বৃষ্টির আবহ বজায় থাকলেও দক্ষিণবঙ্গে চিত্রটা পুরোটাই উল্টো। উত্তরের এলাকায় তড়িঘড়ি বর্ষা ঢুকে পড়লেও আপাতত থমকে একই জায়গাতে আটকে রয়েছে মৌসুমি বায়ু। তাই এ সপ্তাহে উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণে মৌসুমী বায়ু আসার সম্ভাবনা একেবারে নেই বললেই চলে। এদিকে স্কুল খুলতে না খুলতেই তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে গোটা রাজ্য জুড়ে। কিন্তু দীর্ঘ গরমের ছুটির পর ফের ছুটি বর্ধিত করলে পড়াশোনার ব্যাপক ক্ষতি হতে চলেছে রাজ্যের ছাত্র ছাত্রীদের। তার উপর পারদও চড়ছে অনেক। তাই বিভিন্ন সরকারি এবং সরকার সরকার-পোষিত স্কুলের সময়সূচি হেরফের করার অনুমতি দিল সরকার।
রাজ্যে স্কুল ছুটি সম্পর্কে বড় পদক্ষেপ সরকারের!
সম্প্রতি রাজ্যের মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে স্কুল শিক্ষা দফতর এক অ্যাডভাইসরি প্রকাশ করা হয়েছে স্কুলশিক্ষা দফতরের তরফ থেকে। যেখানে বলা হয়েছে, স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে আবহাওয়ার পরিস্থিতি অনুযায়ী, জুন মাসের বাকি দিনগুলিতে অন্য সময়ে ক্লাস করাতে পারবে স্কুলগুলি। এমনভাবে সেই কাজটা করতে হবে, যাতে পড়াশোনা ব্যাহত না হয়। তবে এ ক্ষেত্রে মিড ডে মিলের মতো গুরুত্বপূর্ণ অ্যাকাডেমিক অ্যাক্টিভিটির সময় পরিবর্তন করা যাবে না। এমনকি এই নিয়ম শুধুমাত্র প্রাথমিক স্কুলের ক্ষেত্রেই খাটবে, তা কিন্তু নয়, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের ক্ষেত্রেও একই ভাবে প্রযোজ্য।
আরও পড়ুনঃ DA দাবির মধ্যেই সরকারি কর্মীদের উদ্দেশ্যে কড়া নির্দেশ, চরম বিপাকে সবাই
শিক্ষা দফতরের এই হেন পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছে শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারী। তিনি বলেন, ‘এই নির্দেশিকাকে স্বাগত জানাই। বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্কুলগুলির গরমের ছুটি বাড়িয়ে দেওয়া হোক। তবে সার্বিক ভাবে পঠনপাঠন সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনা করা সম্ভব। তখন আলাদা করে সরকারকে ছুটি ঘোষণা করতে হবে না।’