ভোট মিটতেই সুখবর, DA নিয়ে বিরাট ঘোষণা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের, চারিদিকে খুশির হাওয়া

Published on:

mamata-da

ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: রাজ্যে DA বৃদ্ধি নিয়ে একের পর এক আন্দোলন এবং মামলা দীর্ঘদিন ধরে করেই চলেছে সরকারী কর্মীরা। অতীতে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে বেশ কয়েকবার মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধি করা হলেও, তাতে খুশি নন বহু সরকারি কর্মী। তাঁদের দাবি কেন্দ্রীয় হারে বাড়াতে হবে DA। যার জন্য একাধিক মামলা রুজু হয়েছে হাইকোর্টে। এবার এই আবহেই সামনে এল DA নিয়ে একটি বিরাট আপডেট।

কেন্দ্রীয় সরকার লোকসভা নির্বাচনের আগে কর্মীদের DA একেবারে ৪ শতাংশ বৃদ্ধি করেছে। অর্থাৎ আগে যেখানে কর্মীরা ৪৬ শতাংশ DA পেত, সেখানে তাঁরা ৫০ শতাংশ DA পাবে। শুধু DA নয়, কেন্দ্রীয় কর্মীদের বিভিন্ন ভাতা বৃদ্ধিও করা হয়েছে। যার ফলে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে রাজ্যের কর্মীরা। এমনকি বিরোধী দলগুলির তরফ থেকেও রাজ্যের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে নানা অভিযোগ। তবে সেক্ষেত্রে রাজ্য যুক্তি দিয়েছে যে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ক্ষেত্রে DA বাধ্যতামূলক হলেও, রাজ্য সরকার সমহারে DA দিতে বাধ্য নয়। কারণ রাজ্য সরকার DA এবং পেনশন দুই-ই দেয়। তবে সম্প্রতি DA নিয়ে এক বড় পদক্ষেপ নিল সরকার।

WhatsApp Community Join Now

কর্মীদের মুখে হাসি ফোটাল সরকার

আজ অর্থাৎ বুধবার রাজ্য সরকারের অর্থ দফতরের তরফ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। যেখানে বলা হয়েছে, বর্ধিত হারে এপ্রিল মাস থেকে সরকারী কর্মীদের DA দেওয়ার ঘোষণা করা হচ্ছে। এবং এই বর্ধিত হারের DA পরের মাস অর্থাৎ জুলাই মাসের বেতনের সঙ্গেই ঢুকতে পারে বলে জানিয়েছে অর্থ দফতর। আসলে এই বর্ধিত হারে DA বৃদ্ধির খবর লোকসভা নির্বাচনের প্রচারেই ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মেদিনীপুরের এগরার এক জনসভা থেকে তিনি জানিয়েছিলেন ১ মে-র পরিবর্তে ১ এপ্রিলের হিসেবে বর্ধিত হারে DA দেওয়া হবে সরকারী কর্মীদের। এবার ভোট শেষ হতেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করল সরকার।

আরও পড়ুনঃ একবারে দিতে হবে ৭৫ হাজার টাকা! গাড়ির রোড ট্যাক্স আদায়ে নয়া নিয়ম পশ্চিমবঙ্গ সরকারের

অন্যদিকে নয়া পেনশন প্রকল্প এখনও চালু করেনি রাজ্য সরকার। ঝাড়খণ্ড, হিমাচল প্রদেশ, পঞ্জাবের মতো রাজ্যে এখনও চলছে পুরনো পেনশন প্রকল্প। বার বার কেন্দ্রের কাছে পুরোনো পেনশন প্রকল্প বিভিন্ন রাজ্য থেকে ফিরিয়ে আনার আবেদন জানালেও কেন্দ্র বার বার সেটি প্রত্যাখ্যান করেছে। এবং কারণ হিসেবে জানানো হয়েছে যে পুরনো প্রকল্প ফেরানো হবে না। কারণ সেটি আর্থিক দিক থেকে মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। বরং ওই প্রকল্পের ফলে কোষাগারের উপর বাড়তি চাপ পড়ে। এবং অর্থনৈতিক অবনতি ঘটছে।

বাছাই করা গুরুত্বপুর্ন খবর পেতে গ্রুপে যুক্ত হোন