ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: গোটা রাজ্যের রেশন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনতে আগেই গ্রাহকের চোখের রেটিনা স্ক্যান ও আধার সংযোগের প্রক্রিয়া চালু করা হয়েছিল। পাশাপাশি আঙুলে ছাপ নেওয়ার পদ্ধতি আগে থেকেই চালু ছিল। কিন্তু বায়োমেট্রিক ব্যবস্থাতেও রেশনে কারচুপির অভিযোগ উঠে আসছিল দীর্ঘদিন ধরে। রেশন দোকান মালিকদের বিরুদ্ধে উপভোক্তাদের বরাদ্দ রেশন না দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বিভিন্ন সময়ে। তাই এবার রেশন দোকানের কারচুপি আটকাতে কড়া পদক্ষেপের পথে হাঁটল পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
খাদ্য দফতর সূত্রে খবর, রেশন বণ্টন ব্যবস্থায় ওজনে কারচুপি রুখতে বৈদ্যুতিন ওজন যন্ত্রের ব্যবহার চালু করেছে। রাজ্যের প্রায় ২১ হাজার রেশন দোকানে বৈদুতিন ওজন মাপার যন্ত্র বা ইলেকট্রিক্যাল ওয়েট মেশিন বসানোর কাজ শুরু করা হবে। এইমুহুর্তে পাইলট প্রকল্প হিসাবে এই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। তবে খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ জানিয়েছেন, এর পরের ধাপে সমস্ত রেশন দোকানগুলিতে বৈদ্যুতিন ওজন যন্ত্র রাখা বাধ্যতামূলক করা হবে। যদি সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে কেউ রাজি না হন তাহলে তাঁর দোকানের লাইসেন্স বাতিলও করা হবে।
রেশন ব্যবস্থায় নেওয়া হল এক নয়া পদক্ষেপ
চলতি বছরের শুরু থেকেই রাজ্য সরকার রেশন ব্যবস্থায় একাধিক নয়া পদক্ষেপ নিয়ে আসছে। পোর্টালের মাধ্যমে নতুন রেশন কার্ডের আবেদন গ্রহণ থেকে শুরু করে সব ধরনের পরিষেবা অনলাইনে দেওয়ার উপরে গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। রেশন সংক্রান্ত কাজের জন্য গ্রাহকদের যাতে বিভিন্ন দফতরে ঘুরতে না হয়, তাই এই ব্যবস্থা। শুধু তাই নয় অনেক জায়গায় ই-পস পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। অর্থাৎ বুড়ো আঙুলের ছাপ দিয়ে রেশন তোলার ব্যবস্থা ইতিমধ্যেই চালু করা হয়েছে। এ বার তার সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হবে বৈদ্যুতিন ওজন যন্ত্র।
কী বলছেন খাদ্যমন্ত্রী?
এই প্রসঙ্গে খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ আরও বলেন যে ‘ সাধারণ উপভোক্তারা তাঁদের প্রাপ্য রেশন থেকে যাতে কোনোভাবেই বঞ্চিত না হয় সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ডিজিটাল ওয়েয়িং মেশিনের সঙ্গে ই-পস যুক্ত করা হবে। ফলে সেখানে যাবতীয় তথ্য সংরক্ষিত থাকবে। ইতিমধ্যেই অনেকে রেশন দোকানে এই কাজ শেষ হয়েছে। আমরা যত দ্রুত সম্ভব বাকি রেশন দোকানেও এই কাজ শেষ করার চেষ্টা করছি।’