ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের পর গত কয়েকদিন ধরে রাজ্যে বিভিন্ন এলাকায় গণপিটুনিমূলক ঘটনা ঘটতে দেখা গিয়েছে। এমনকি কখনও ছেলেধরা সন্দেহে, কখনও আবার চোর সন্দেহে রাজ্যে একাধিক ‘গণপিটুনি’র ঘটনা ঘটেছে। তাতে আক্রান্তের মৃত্যু পর্যন্তও হয়েছে। পুলিশি গ্রেফতারির পরও যেন থামছে না এই হিংসা। যা নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও। কিন্তু কোথায় আর কি? তাইতো এবার কোমর বেঁধে ময়দানে নামল পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
সমীক্ষায় উঠে এসেছে গত ১১ জুন থেকে গতকাল পর্যন্ত কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে গণপিটুনির অন্তত ১৫টি ঘটনা ঘটেছে। যার মধ্যে চন্দননগর, বারাসত, অশোকনগর, ঝাড়গ্রাম থেকে শুরু করে রাজারহাট, বউবাজার-এলাকার নাম উঠে এসেছে। প্রত্যেকটি ঘটনাতে পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে সেখানেই। ঘটনা ঘটার আগে থেকে কেন পুলিশ এই ধরনের ঘটনাগুলি আটকাতে পারছে না। উঠছে পুলিশের তৎপরতার প্রশ্ন। এবার তা নিয়েই মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় পুলিশকর্তাদের।
বৈঠকে পুলিশকে তিরস্কার মমতার!
সূত্রের খবর গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে নবান্নে উচ্চপদস্থ পুলিশকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব এবং ADG (আইন-শৃঙ্খলা)। গণপিটুনি মূলক ঘটনাগুলি পুলিশ আটকাতে ব্যর্থ হওয়ায় তিরস্কার করেন মুখ্যমন্ত্রী। সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, ‘এই ধরনের ঘটনা কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা যাবে না। পুলিশকে চোখ-কান খোলা রাখতে হবে। পুলিশের নজরদারি আরও বাড়াতে হবে। এলাকায় এলাকায় পুলিশের সোর্স তৈরি করতে হবে। খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে হবে।’
চাকরি দেওয়ার আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর!
এছাড়াও ADG (আইন-শৃঙ্খলা) মনোজ ভার্মাকে উদ্দেশ্য করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমার কাছে খবর আছে, অভিযোগ পেয়েও পুলিশ অনেক ক্ষেত্রে কোনও অ্যাকশন নিচ্ছে না। তারা চুপ করে বসে থাকছে। পুলিশকে এত দুর্বল হলে চলবে না। আরও কঠোর হতে হবে। যদিও এই সকল ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য কোনও ক্ষতিপূরণই যথেষ্ট নয়। তবে রাজ্য সরকারের তরফে মৃত পরিবারের সদস্যদের হোমগার্ডের চাকরি এবং দু’লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য করা হবে।’