আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় উত্তাল বাংলা সহ সমগ্র দেশ। আর এই ঘটনায় এখনও অবধি পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনার পর থেকেই বারবার শিরোনামে উঠে আসছে সিভিক ভলান্টিয়াররা। অনেকেই ইতিমধ্যে এই বিশেষ পদটিকেই তুলে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছেন। আসলে রক্ষকই যখন ভক্ষক হয়ে ওঠে তখন হাজারো প্রশ্ন মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে শুরু করে। শুধু এই ঘটনাই নয়, কয়েকদিন আগে সিঁথির মোড়ে আরজি কর-কাণ্ডের এক প্রতিবাদ মিছিলে এক সিভিকের বিরুদ্ধে মদ্যপ অবস্থায় মিছিলে তাণ্ডব করার অভিযোগ ওঠে। সব মিলিকে সিভিকদের নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে বাংলা। কিন্তু এরই মাঝে সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়ে বিশেষ ব্যবস্থার প্রতি হাঁটল প্রশাসন। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন।
বড় সিদ্ধান্ত প্রশাসনের
আসলে সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। নবান্ন সূত্রে খবর, এবার আগামী দিনে বহু নিয়ম বদলে যেতে পারে। মূলত শৃঙ্খলার পাঠ দেওয়া হবে সিভিক ভলান্টিয়ারদের। দেওয়া হবে এক বিশেষ ধরনের ট্রেনিং। সূত্রের খবর, আইন শৃঙ্খলার দায়িত্ব কীভাবে সামলাতে হয়? নিয়ম শৃঙ্খলা মানা পর্যন্ত সবকিছু নিয়েই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। জরুরি পরিস্থিতিতে কী কী করতে হবে না করতে হবে সব কিছু নিয়ে এবার সিভিক ভলান্টিয়ারদের পাঠ দেবে রাজ্য ও কলকাতা পুলিশ বলে খবর।
কবে থেকে শুরু হবে প্রশিক্ষণ?
এখন আপনার মনেও নিশ্চয়ই প্রশ্ন জাগছে যে কবে থেকে এই প্রশিক্ষণ শুরু হবে? কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাস থেকেই প্রশিক্ষণ শুরুর পরিকল্পনা করছে রাজ্য সরকার। ডিউটি চলাকালীন শৃঙ্খলাপরায়ণ থাকার ব্যাপারে প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে। এরই সঙ্গে বিভিন্ন আইনের ধারা নিয়েও সকলকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে খবর। একদিকে যখন সিভিক সঞ্জয় রাইয়ের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগের আঙুল উঠছে সেখানে সিভিকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার সিদ্ধান্তকে বড় করেই দেখছে বিশিষ্ট মহল। তবে কি আরজি করের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিল প্রশাসন? উঠছে প্রশ্ন।