ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: আগে বর্ষা এলেই সবজির দাম কমিয়ে দিত বিক্রেতারা। ফলত ব্যাগ ভর্তি সবজি সস্তায় কিনে নিয়ে আসত বাজার থেকে। ফলে ব্যাগ ভর্তি করে ক্রেতারা বাজার নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারত। তবে দিনে দিনে সেই চিত্র যেন বেশ বদলে গিয়েছে। দামের ছ্যাঁকায় পুড়ছে পকেট। ফলে থলি ভর্তি তো দূর, নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় আলু-পেঁয়াজ-টমেটো কিনতে গিয়েই নাকানি চোবানি খাচ্ছে আমজনতা।
কলকাতায় সস্তা টাটকা সবজি!
দেখা গিয়েছে কোনও কোনও বাজারে ৩৫ টাকা কেজি দরে আলু, পেঁয়াজ ছুঁয়েছে কেজি প্রতি প্রায় ৪৫ টাকা। আদা-রসুনের দাম ২০০- র নিচে নামেনি। শুধু তাই নয়, কাঁচালঙ্কা ১০০ টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বাজারে সবজির দাম নিয়ন্ত্রণ করতে রীতিমত ঝাঁপিয়ে পড়েছে টাস্ক ফোর্স। কিন্তু তাতে টানা ১ সপ্তাহ দাম নিয়ন্ত্রণে থাকলেও ফের যেই কে সেই হয়ে যায় দাম। তাই সেক্ষেত্রে কলকাতায়, পশ্চিমবঙ্গ সরকার সুফল বাংলা স্টল চালু করেছিল। এর ফলে চলতি বাজারের থেকে অনেকটাই কম দামে সবজি পাওয়া যায়। যা শহরবাসীর বেশ কিছুটা সুবিধা হয়েছে। আর এই আবহেই ভ্রাম্যমান ন্যায্যমূল্যের দোকান চালু হল নদীয়া জেলায়।
নদীয়ায় চালু বিশাল উদ্যোগ
সূত্রের খবর, নদীয়ার জেলা শাসক এস অরুণ প্রাসাদ কৃষ্ণনগরের প্রশাসনিক ভবন থেকেই ভ্রাম্যমান ন্যায্যমূল্যের দোকান এর গাড়ি উদ্বোধন করেন। যার ফলে কলকাতার মত এখানকার স্থানীয় বাসিন্দারাও কম দামে স্থানীয় বাজারের তুলনায় অনেকটাই কমে আলু, পেঁয়াজ থেকে শুরু করে সবজি কিনতে পারবেন। জানা গিয়েছে এই গাড়িতে আলু পাওয়া যাবে ২৮ টাকা কেজি দরে, পেঁয়াজ ৩৮ টাকা প্রতি কেজি, রসুন ২০০ টাকা কেজি, এবং পটল ২০ টাকা কেজি দরে পাওয়া যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত নদীয়া জেলায় এইমুহুর্তে ৩টি গাড়ি চালু করা হয়েছে জেলা শাসকের পক্ষ থেকে। তবে এই ধরণের গাড়ির সংখ্যা ভবিষ্যৎ এ আরও বাড়ানো হবে। ২০১৪ সালে মাত্র ১৪টি স্টল দিয়ে শুরু হয় এই প্রকল্প। রাজ্যের মানুষকে ঊর্ধ্বমুখী শাক-সবজির দামের থেকে রেহাই দিতেই রাজ্য সরকারের তরফে এই প্রকল্প চালু করা হয়েছিল।তাই আগামী দিনে এই পরিষেবা যে সত্যিই লাভজনক হয়ে উঠবে সকলের কাছে তা একেবারে স্পষ্ট।