ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: দিন যত এগোচ্ছে রাজ্যের অন্দরে ঘটে চলা নিয়োগ দুর্নীতির প্রসঙ্গে হেন তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে চলেছে। হাজার তাজের টাকা ঘুষ খাইয়ে অযোগ্য হওয়া সত্বেও শখের চাকরি হাতিয়ে নিচ্ছে বেশ কয়েকজন। আর তাতে ইন্ধন যোগাচ্ছে রাজ্যের বেশ কিছু তাবড় তাবড় নেতারা। এর মাঝেই রাজ্যের সরকারী চাকরি ব্যবস্থায় কিছুটা দোটানা দেখা গিয়েছে।
রাজ্যের বেশ কয়েকটি দফতরে ইতিমধ্যেই প্রচুর শূন্যপদ তৈরি হয়েছে। সেই শূন্যপদগুলি পূরণের জন্য আবেদনপত্র পাঠানো হয়েছিল সরকারকে। স্কুল শিক্ষা দফতরের প্রস্তাব ছিল, ১৯০টি শূন্যপদ পূরণ করতে হবে। যার জন্য বছরে ১১.৬০ কোটি টাকা দরকার পড়বে। খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দফতর এর তরফ থেকে ২৮ জন নিরাপত্তা রক্ষী ও ১৪২ জন উদ্যান পালন প্রযুক্তি সহায়ক নিয়োগ করতে চাইছে। সেখানেও লাগবে বছরে ৫.৭৪ কোটি টাকা। শুধু তাই নয় শিলিগুড়ি কমিশনারেটের আটটি থানা ও ট্রাফিক গার্ডের জন্য সিভিক ভলান্টিয়ার এবং পূর্ত, শ্রম, স্বাস্থ্য, কৃষি দফতর কর্মী নিয়োগের প্রত্যাবনা পেশ করেছিল। তবে এবার সেই সকল শূন্যপদ নিয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ আপডেট উঠে এল।
শূন্যপদ নিয়ে বড় ঘোষণা মুখ্য সচিবের
গত সোমবার শূন্যপদে নিয়োগ সংক্রান্ত একটি বৈঠক নবান্নে আয়োজন করেছিলেন মুখ্য সচিব ভগবতী প্রসাদ গোপালিকা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সরকারের মুখ্য কিছু দফতরের সচিব। সূত্রের খবর, ওই বৈঠকেই মুখ্য সচিব জানিয়ে দেন, একেবারেই বিপুল নিয়োগ একদমই নয়। বুঝে সুঝে কর্মী নিয়োগ করতে হবে। শূন্য পদ আসছে বলেই দল বেধে সারি সারি লোক নিয়ে নেওয়ার কোনো মানেই হয় না। এছাড়াও মুখ্য সচিব জানিয়েছেন, রাজ্যে বেশ কয়েকটি উন্নয়ন পর্ষদ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সেখানে এখনও বেশ কয়েকজন কর্মীরা রয়েছেন, তাই দরকার হলে তাদের অন্য দফতরে ট্রান্সফার করা হবে। যার ফলে নিয়োগ সংখ্যার হার কমবে।
এদিকে ওই বৈঠকে অর্থ সচিব মনোজ পন্থ আবার জানিয়েছেন, কোনও সরকারি দফতরে নয়া নির্মাণের জন্য এখন যেন কেউ প্রস্তাব না পাঠান। কারণ, কোনও নতুন নির্মাণের প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হবে না এইমুহুর্তে। আসলে বেশ কয়েকদিন আগে শীর্ষ আমলাদের নিয়ে এক বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে তিনি সরকারি দফতরের কাজকর্ম নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন।
সরকারী কাজকর্মে ক্ষুব্ধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়!
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ‘বহু সরকারি দফতরে কর্মীদের কোনও কাজ নেই। আসে যায় মাইনে পায়। তাঁদের জন্য আলো জ্বলে, পাখা ঘোরে, কিন্তু প্রোডাক্টিভ কিছু পায় না সরকার। বড়পাশাপাশি, এই সব দফতরে কর্মীদের অনেকেই কখন আসেন, কখন বেরিয়ে যান তারও হিসাব নেই। তাই সেক্ষেত্রে বাড়তি খরচ বাড়ছে। তাই মুখ্যমন্ত্রীর কথা মাথায় রেখেই নবান্নে বৈঠক ডেকেছিলেন ভগবতী প্রসাদ গোপালিকা। এবং এই গোটা প্রসেস হ্যান্ডেল করার জন্য একটা সরকারি কমিটি গঠন করা হয়েছে। যার নাম স্টেট লেবেল কমিটি অন রাশানালাইজেশন অ্যান্ড অপটিমাল ইউটিলাইজেশন অফ হিউম্যান রিসোর্সেস