কলকাতাঃ আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসক খুনে একদিকে যেমন বাংলা সমগ্র দেশ উত্তাল তখনই বড়সড় সিদ্ধান্তের পথে হাঁটল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। কেউ হয়তো ভাবতে পারেনি যে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এমন একটা সিদ্ধান্ত নিতে পারে। জনদরদী প্রকল্পের টাকা পাঠানো বন্ধ করে দিল সরকার। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। আপাতত প্রশাসনিক কারণ দেখিয়ে সেই প্রকল্পের টাকা পাঠানো বন্ধ করে দিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
টাকা পাঠানো বন্ধ করল সরকার
কেন্দ্রীয় হোক কিংবা কোনও রাজ্য সরকার, সাধারণ মানুষের কল্যাণে একে পর এক প্রকল্প এনে সকলের দুঃখ দুর্দশা থেকে মুক্তি দেওয়ার চেষ্টা করে। তেমনই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে সাধারণ মানুষের কল্যাণে একের পর এক আনা প্রকল্পের দরুন বছরের পর বছর ধরে উপকৃত হচ্ছেন রাজ্যে সাধারণ মানুষ। কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, লক্ষ্মীর ভান্ডার, তরুণের স্বপ্ন সহ বেশ কিছু প্রকল্প পরিচালিত করে সরকার।
তবে আজ কথা হবে তরুণের স্বপ্ন প্রকল্প নিয়ে। এবার সরকারের তরফে এই প্রকল্পে টাকা পাঠানো বন্ধ করা হল। এই তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পটি মূলত স্কুল পড়ুয়াদের জন্য। আরজি কর কাণ্ডের আগুনে আচমকা একাদশ দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের মোবাইল, ট্যাব কেনার জন্য টাকা পাঠানো বন্ধ করল সরকার।
বড় সিদ্ধান্ত নবান্নের
নবান্নের এক পদক্ষেপে রীতিমতো চমকে গিয়েছে সকলে। এমন বহু বাড়ি রয়েছে যেখানকার সন্তানেরা টাকা-পয়সার অভাবে ভালোভাবে শিক্ষা নিতে পারেন না। এখানে অবশ্যই বিগত বেশ কিছু বছর ধরে তরুণের স্বপ্ন প্রকল্প পরিচালিত করে আসছে বাংলার সরকার। এই প্রকল্পের দরুন একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণী পড়ুয়াদের মোবাইল ফোন এবং ট্যাবলেট কেনার জন্য ১০ হাজার টাকা করে পাঠায় সরকার। তবে এবার সেই টাকাই পাঠানো বন্ধ করে দেওয়া হলো বলে জানানো হয়েছে নবান্নে তরফে। আগামী ৫ ই সেপ্টেম্বর প্রত্যেক স্কুলের পড়ুয়াদের এই টাকা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল কিন্তু আচমকাই এই টাকা পাঠানো বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
তবে আগামী দিনে সেই টাকা দেওয়া হবে কি না বা দিলে তা কবে সে ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কিছু জানানো হয়নি। উল্লেখ্য, এই তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পে সরকারি এবং সরকার পোষিত স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের এককালীন ১০ হাজার টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। শুধু তাই নয় একাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদেরও এককালীন এই দশ হাজার টাকা দেওয়ার ঘোষণা করেছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার।