ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাধারণ মানুষের চিকিৎসার সুবিধার জন্য চালু করেছিলেন স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প। যার মাধ্যমে প্রত্যেক পরিবার সর্বোচ্চ ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসার খরচ পেয়ে থাকেন। কিন্তু, স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জন্য গিয়েছে এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে বেশ কয়েকটি বেসরকারী হাসপাতাল বিভিন্ন কারচুপি করছে। এই প্রেক্ষাপটে এবার স্বাস্থ্যসাথী নিয়ে কড়া পদক্ষেপ নিল স্বাস্থ্য ভবন
স্বাস্থ্যসাথী নিয়ে বড় অভিযোগ বেসরকারী হাসপাতালের বিপক্ষে
সূত্রের খবর, বেশ কিছুদিন ধরে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে সরকারের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছিল বেশ কিছু বেসরকারি হাসপাতালের তরফ থেকে। স্বাস্থ্যসাথীর ক্ষেত্রে নিয়ম লঙ্ঘন করেছে এমন ৩০ শতাংশ ঘটনাই বেসরকারি হাসপাতালের অন্তর্গত। তাঁরা নাকি অপারেশনের নামে বাড়তি টাকা আদায় করছিল। এবার সেই অভিযোগকে হাতিয়ার বানিয়ে নিয়ে রাজ্য সরকার স্বাস্থ্যসাথী নিয়ে এই নয়া নির্দেশিকা জারি করল।
নিয়মে বড় বদল
একের পর এক বিলের এইরূপ বেনিয়ম ঠেকাতে এবার নতুন উদ্যোগ নিল স্বাস্থ্য দফতর। ঘোষণা করা হয়েছে কোনও রোগী যদি ১০ দিনের বেশি হাসপাতালে থাকেন, তাহলে তাঁর মেডিক্যাল অডিট হবে। এবং সেই মেডিক্যাল অডিটের ভিত্তিতেই সরকার বিলের টাকা পাস করবে। পাশাপাশি কোনো রোগীকে যে অপারেশনের জন্য ভর্তি করানো হবে, শুধু সেই অপারেশনের টাকাই দেবে রাজ্য সরকার। কিন্তু পরে যদি অন্য কোন সমস্যা ধরা পড়ে তাহলে সেই অপারেশনের টাকা দেবে না সরকার।
আরও পড়ুন: গরমের ছুটি শেষ! জুলাইতে কতদিন স্কুল, কলেজ বন্ধ রাখছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার? চলে এল তালিকা
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রকল্প চালু করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর ফলে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা করানোর ক্ষেত্রে বড় সুবিধে মিলেছিল রাজ্যের সাধারণ মানুষদের। আসলে এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হল রাজ্যের সমস্ত সাধারণ মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া এবং সরকারি প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসা।