ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: সম্প্রতি পাখিদের মধ্যে হওয়া এই ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগে কয়েক মাসের মধ্যে দুইজন শিশুর মধ্যে ছড়িয়ে পড়া এই রোগ স্বাভাবিক ভাবেই অনেকের মনে ভয় ঢুকে গিয়েছে। আতঙ্ক তৈরি হয়েছে যে, হাঁস-মুরগির মাংস কিংবা তাদের ডিমে লুকিয়ে নেই তো সেই ভয়াবহ ভাইরাস। তবে সেই ভয় ও আতঙ্ক দূর করতে গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার, স্বাস্থ্য এবং প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তর এক বিবৃতি জারি করা হয়েছে।
সেই বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে রাজ্যবাসী এখন নির্ভয়ে ডিম-মুরগি-হাঁস এর মাংস খেতে পারেন। কারণ, বঙ্গে অ্যাভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা পাখিদের মধ্যে আদৌ ছড়ায়নি। এদিন স্বাস্থ্যসচিব জানিয়েছেন, মালদহে এক শিশুর ইনফ্লুয়েঞ্জা হয়েছিল। তাঁর চিকিৎসা করা হয় নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজে। গত মার্চ-এপ্রিলে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিতে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হয়েছিল এই নমুনা।
ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগে আক্রান্ত দুই শিশু
সেই পরীক্ষায় H9N2 ভাইরাসের স্ট্রেন পাওয়া যায় শিশুর দেহে। কিন্তু প্রথম নমুনা পরীক্ষায় রিপোর্টে ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেলেও, পরের বার পরীক্ষা করলে সেই রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। জানা গিয়েছে, শিশুটি এখন সুস্থ আছে। অন্য জন অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী। সে বছর আড়াইয়ের এক কন্যা। সে কলকাতার পৈতৃক বাড়িতে এসে সংক্রমণের কবলে পড়েছিল। তখন তার দেহে H5N1 স্ট্রেনের এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস পাওয়া যায়। তবে দুই শিশুর সংস্পর্শে আসা কোনও ব্যক্তিদের শরীরে ভাইরাস পাওয়া যায়নি বলে জানান স্বাস্থ্যসচিব।
মাংস ডিম খাওয়া নিয়ে জরুরি বিজ্ঞপ্তি
এদিন এক সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম এবং প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব বিবেক কুমার সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘পোলট্রি বার্ডের মধ্যে কিছু ধরা পড়েনি। খুব কড়া নজরদারি চালিয়েও কোনও হাঁস-মুরগির মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। তাই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। পাশাপাশি হাঁস-মুরগির মাংস, ডিম খাওয়া নিয়ে কোনও নিষেধাজ্ঞা বা সতর্কবার্তাও জারি করছে না সরকার।’
আরও পড়ুনঃ দক্ষিণবঙ্গে প্রাক বর্ষার আমেজ, আজ থেকেই ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি! ৪ জেলায় তাপপ্রবাহের অ্যালার্ট
অন্যদিকে আশা করা হচ্ছে যে H9N2 স্ট্রেনের মতো বিরল প্রজাতির বার্ড ফ্লু ভাইরাস সম্ভবত সাইবেরিয়া থেকে এসেছে, তবে তা এখনও কোনও পোলট্রিতে হামলা চালায়নি। তার পরেও সাধারণ স্বাস্থ্যবিধির স্বার্থেই চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন অবশ্যই বাজার থেকে আসা মাংস ও ডিম ভালো করে ধুয়ে চড়া আঁচে রান্না করে নিতে হবে। সে ক্ষেত্রে ভাইরাস আর বেঁচে থাকে না।